ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

হাইতিতে জরুরি অবস্থা জারি

কারাগারে সশস্ত্র হামলা, মুক্ত ৪ হাজার বন্দি

আপলোড সময় : ০৪-০৩-২০২৪ ১১:০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০৪-০৩-২০২৪ ১১:০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
কারাগারে সশস্ত্র হামলা, মুক্ত ৪ হাজার বন্দি সংগৃহীত
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতির একটি কারাগারে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সশস্ত্র এই হামলার মাধ্যমে প্রায় চার হাজার বন্দিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে তারা। এ ঘটনায় হাইতির সরকার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। খবর বিবিসি।

কারাবন্দিদের মধ্যে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত গ্যাং সদস্যরাও ছিলেন। 

আমেরিকার দরিদ্রতম দেশ হাইতিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সহিংসতা আরও খারাপ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া সশস্ত্র দলগুলো হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

বিবিসি বলছে, সহিংসতার সর্বশেষ এই পর্ব শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। ওইদিন হাইতিতে কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাইরোবি সফরে যান।

এরপরই গ্যাং নেতা জিমি চেরিজিয়ার (ডাকনাম ‘বারবিকিউ’) তাকে (প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি) অপসারণের জন্য সমন্বিত আক্রমণ চালানোর কথা ঘোষণা করেন। সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সবাই, প্রাদেশিক শহরের সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং রাজধানীর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ঐক্যবদ্ধ।’

জিমি চেরিজিয়ার নামের এই গ্যাং নেতা রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশ কয়েকটি গণহত্যার পেছনে রয়েছে বলে মনে করা হয়। সমন্বিত আক্রমণ চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পর গোলাগুলিতে চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরে হাইতির ফরাসি দূতাবাস রাজধানী এবং এর আশপাশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেয়।

বিবিসি বলছে, হাইতির পুলিশ ইউনিয়ন পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রধান ওই কারাগারটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করতে বলেছিল। কিন্তু শনিবার গভীর রাতে ওই কারাগার প্রাঙ্গণে হামলা হয়।

মূলত সাবেক প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে হাইতিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত কাউকে করা হয়নি এবং ২০১৬ সাল থেকে ক্যারিবীয় অঞ্চলের এই দেশটিতে নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়নি।

যদিও একটি রাজনৈতিক চুক্তির আওতায় হাইতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এবং অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি গত ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদত্যাগ করার কথা ছিল, কিন্তু সেটি হয়নি।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাতিসংঘ জানায়, গত বছর হত্যা, আহত এবং অপহরণসহ হাইতিতে গ্যাং সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ। যা দেশটিতে ২০২২ সালে সহিংসতার শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ