ইলেকট্রিক কেটলি থেকে বেইলী রোডে আগুন লাগে!
আপলোড সময় :
০৬-০৩-২০২৪ ১০:৩৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
০৬-০৩-২০২৪ ১০:৩৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
সংগৃহীত
রাজধানীর বেইলী রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের সূত্রপাত ইলেকট্রিক কেটলি থেকে। ভবনটির নিচতলার ‘চা চুমুক’ নামের চায়ের দোকানের চা তৈরির জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রিক কেটলি থেকে আগুনের সূত্রপাত। এরপর পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে আগুনের তাপে এলপিজি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডারের গ্যাসে আগুন ধরে যায়।
এতে আগুনের লেলিহান শিখা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হওয়া চার জনের মধ্যে দুই জন পুলিশের রিমান্ডে এমন তথ্য জানিয়েছেন। ঐ ভবনের নিচতলায় ‘চা চুমুক’ দোকানের মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা জানিয়েছেন।
অপরদিকে, চা চুমুক দোকানের ঐ দুই ব্যক্তির তথ্যের সত্যতাও পেয়েছে বিস্ফোরক অধিদপ্তর। সংস্থাটির একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইলেকট্রিক কেটলি বিস্ফোরণের নমুনা পেয়েছে। এ থেকে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নয়; ইলেকট্রিক কেটলি বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিস্ফোরক অধিদপ্তরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন জানান, তাদের পরিদর্শক দল কোনো গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আলামত দেখতে পায়নি। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে সিলিন্ডারের ধ্বংসাবশেষ থাকত, চতুর্দিক বিস্ফোরিত সিলিন্ডার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত। অন্য রকম একটা পরিবেশ থাকত। কিন্তু এ রকম কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। এমনো নয় যে, আগুন লাগার পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এখানে কোনো গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনাই ঘটেনি। তবে আমরা ইলেকট্রিক কেটলির ধ্বংসাবশেষ পেয়েছি, পোড়া তারও পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় যেহেতু মামলা হয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত চলমান। তারা ঘটনাটি উদঘাটন করবে।
তিনি বলেন, এমন আগুনের ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত আলামত পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজন হয়ে থাকে। ফায়ার সার্ভিস কিংবা পুলিশ যদি মনে করে তখন আদালতের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত আলামত বিস্ফোরক অধিদপ্তরে পাঠালে তারা পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আলামত পরীক্ষার জন্য তাদের বলা হয়নি। কিন্তু আগুনে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটায় এবং সেখানে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে তারা ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করেছেন। তাদের টিম সেখানে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্যেরও উপস্থিতি পাননি।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ঐ দুই জন পুলিশকে জানিয়েছেন, ইলেকট্রিক কেটলিটিতে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। তখন তারা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে কিছুতেই আগুন নিভছিল না। একপর্যায়ে কেটলির আশপাশে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্রে আগুন ধরে যায় এবং পুরো দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে, ঐ ভবন থেকে পুলিশ অক্ষত ১১টি গ্যাস সিলিন্ডার সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ছয়টি ছোট এবং পাঁচটি বড় গ্যাস সিলিন্ডার। সেগুলো রমনা থানায় রাখা হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain
কমেন্ট বক্স