নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার দাসেরগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকে গরুর খামার করার অভিযোগ উঠেছে বুলবুল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যেখানে গোমূত্র ও গোবরের গন্ধে ক্লিনিকের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সুস্থ হতে আসা রোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে সরেজমিনে দাসের গাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা যায়, মুছাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দাসেরগাঁও এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য ওই এলাকার মৃত জজ মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে জমি দান করা হয়। সেখানে সরকারি অর্থায়নে ভবনটির নির্মাণ করে ক্লিনিকটি স্থানীয় জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই এলাকার মৃত জজ মিয়ার ছেলে বুলবুল আহমেদ দীর্ঘ ১০ মাস যাবৎ জোরপূর্বক ক্লিনিকের জায়গার ভেতরের দেয়াল ঘেষে গরুর খামার দেওয়ার কারণে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। ক্লিনিকের পক্ষ থেকে বার বার আপত্তি সত্বেও কর্নপাত করছেনা বুলবুল। 

ক্লিনিকের সিএইচসিপি ইসরাত জেরিন হুমা জানান, জমিদাতা জজ মিয়ার ছোট ছেলে বুলবুল আহমেদ ২ মাসের জন্য গরু রাখবে বলে দীর্ঘ ১০ মাস যাবৎ গরু রাখছে। সেবা নিতে আসা রোগীরা ময়লার দুর্গন্ধের কারণে ক্লিনিকে এসে অস্বস্থিবোধ করেন। তা ছাড়া দুর্গন্ধের কারণে সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এখানে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আমরা নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছি। গত ১৩ মার্চ বিকালে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। 

অপরদিকে দাসেরগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকের জায়গায় গরুর খামার করায় বুলবুল আহমেদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গত ১৩ মার্চ মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বরাবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ড. মু. বেলায়েত হোসেন। 

অভিযুক্ত বুলবুল আহমেদ জানান, ক্লিনিকের জায়গা আমরা দিয়েছি। এখানে গরু রাখলে সমস্যা কী। এই বিষয়টি নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করার কী আছে। আর পরিবেশ দুষণ হচ্ছে প্রশ্ন করলে তিনি কিছুই করার নেই বলে জানান। 

বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. বেলায়েত হোসেন জানান, তিনি দীর্ঘ ১০ মাস যাবৎ ক্লিনিকের জায়গায় গরুর খামার দিয়ে রেখেছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমি আজকে দাসেরগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়েছি, উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে বিষয়টি আমি উল্লেখ করব। 

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএ মুহাইমিন আল জিহান মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি জেনেছি। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।