স্ত্রীর লাশ ফেলে পালানোর চেষ্টা, অ্যাম্বুলেন্স চালকের ৯৯৯ ফোন
আপলোড সময় :
২১-০৩-২০২৪ ১১:১৭:০৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
২১-০৩-২০২৪ ১১:১৭:০৩ পূর্বাহ্ন
সংগৃহীত
মারধরে আহত স্ত্রীর মৃত্যু হলে লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্স চালকের সহযোগিতায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আটক ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম মীর (৩৬)। তিনি আশুলিয়ার শিমুলতলা দরগারপাড় এলাকার মৃত নজরুল ইসলাম মীরের ছেলে। তার স্ত্রী নিহত ফারজানা আক্তার মীম (৩৪) জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার জহিরুল হকের মেয়ে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় স্ত্রী মীমকে নিয়ে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার নোভা হাসপাতালে যান স্বামী শহিদুল ইসলাম। অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে করে স্ত্রীকে ঢাকার উদ্দেশ্য নিয়ে রওনা দেন স্বামী।
অ্যাম্বুলেন্সের চালক মেহেদী জানান, আমি সেই রোগী নিয়ে আশুলিয়া থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যাই। পরে সেখানকার ডাক্তারদের কাছ থেকে জানতে পারি রোগীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পরে বুঝতে পারি স্বামীই তাকে মারধর করেছে। আমি তাকে আবার লাশসহ গাড়িতে তুলে আশুলিয়ায় নিয়ে এসে র্যাব-পুলিশকে খবর দিই। পরে কৌশলে তাকে আটকে ফেলি এবং ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি পুলিশকে জানাই।
র্যাব-৪ (সিপিসি-২)-এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান ‘লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের পর গুরুতর আহত হয়ে মারা যান মীম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী শহিদুল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। প্রায় ১৫ বছর আগে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় তিন-চার বছর পর যৌতুক নিয়ে দ্বন্দ্ব তাদের বিচ্ছেদও হয়েছিল। পরে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্তের পর আবার একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন তারা। কিন্তু প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং স্বামী প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain
কমেন্ট বক্স