ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের বেইত হিল্লেল সামরিকঘাঁটিতে মোতায়েন করা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সামরিক সংগঠন হিজবুল্লাহ।

বুধবার ইসরাইলের সীমান্তজুড়ে সংঘাত বৃদ্ধির আশঙ্কার মধ্যেই এবার ইরানের হামলার বিষয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। খবর রয়টার্সের।

তিনি বলেন, কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যায়, আমরা সে সিদ্ধান্ত নেব। নিজেদের রক্ষার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে ইসরাইলের বিমানবাহিনী জানায়, তাদের যুদ্ধবিমানপূর্ব লেবাননে ইরানসমর্থিত হিজবুল্লাহর ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে’ আক্রমণ করেছে, যা ইসরাইলের উত্তর সীমান্তজুড়ে সংঘাত আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি করছে।

অন্যদিকে বুধবার ইসরাইলে সফররত জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, সমর্থনের জন্য নেতানিয়াহু তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাদের বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই— আমরা আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেব এবং ইসরাইল রাষ্ট্র নিজেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে।’

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই দেশটির সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর মধ্যেই গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তেহরানের কনস্যুলেটে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা কুদস ফোর্সের সিরিয়া ও লেবানন শাখার কমান্ডারসহ উচ্চপদস্থ সামরিক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হন। এর পরই ইসরাইলে প্রতিশোধমূলক হামলায় হুঁশিয়ারি দেয় ইরান।