গরম কেড়ে নিয়েছে ঘুম, রাজধানীতে গভীর রাতেও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে মানুষ
আপলোড সময় :
২৩-০৪-২০২৪ ১২:০২:২৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৩-০৪-২০২৪ ১২:০২:২৮ অপরাহ্ন
সংগৃহীত
প্রচণ্ড গরমে রাতে ঘুমাতে পারছে না রাজধানীবাসী। গরম থেকে রেহাই পেতে নিচ্ছেন বিভিন্ন পন্থার আশ্রয়। তাতেও কাজ হচ্ছে না বললেই চলে। গরম থেকে একটু প্রশান্তি পেতে মাঝরাতেও নগরীর সড়কের পাশে কিংবা মোড়ের চায়ের দোকানগুলোতে সময় কাটাচ্ছেন মানুষ।
রাজধানীর এমন গরম নিয়ে কথা আবু বকর নামের একজনের সাথে। তিনি পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক। পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন রামপুরায়। জানান, প্রচণ্ড এই গরমে তার পুরো পরিবারই ভোগান্তিতে পড়েছে।
আবু বকর বলেন, রাতে গরমের কারণে ঘুমাতে পারি না। সকালে আবার কাজে যেতে পারি না ঠিকমত। প্রচুর গরম। রাত তিনটা-চারটা পর্যন্ত জেগে থাকতে হচ্ছে। রাতে গামছা ভিজিয়ে শরীর মুছে গরম নিবারণের চেষ্টা করেন তিনি। তবে সেই প্রশান্তিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না বলে জানান তিনি।
তার স্ত্রী বলেন, গরমে বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাত জেগে বাচ্চাদেরকে পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয় তাকে। এছাড়া, মাঝে মাঝে হাতমুখে পানি দিয়ে স্বস্তি নেয়ার চেষ্টা করেন তারা।
শুধু আবু বকর নয়, পুরো রাজধানীবাসীই যেন এমন বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। অস্বাভাবিক গরমে কেউই নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারছেন না। মানুষের যখন গভীর নিদ্রায় থাকার কথা তখনও অনেকে ঘরের বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। তীব্র গরম যেন ঘরছাড়া করেছে তাদের। মধ্যরাতেও চায়ের দোকানে চোখে পড়ছে মানুষের জটলা।
এ বিষয়ে রাজধানীর এক বাসিন্দা বলেন, বাসায় থাকা যায় না। ফ্যানের বাতাসও গরম হয়ে যায়। সেজন্য একটু ঠান্ডা বাতাসের জন্য মাঝরাতে বাইরে বসে আছি। এমন অনেকেই রাতে রাস্তার ধারে কিংবা মোড়ে মোড়ে সময় কাটাচ্ছে।
আরেকজন বলেন, রাতে খাওয়ার পর শুয়েছিলাম। মনে হলো- গরমে শরীর সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই আবার বাইরে চলে এসেছি। ঘরের ফ্যানের বাতাসের চেয়ে বাইরে গরম কম বলেও জানান তিনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain
কমেন্ট বক্স