ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ২০ দিন পরও ধরা ছোঁয়ার বাইরে ‘পিস্তল বাবু’

আপলোড সময় : ০১-০৭-২০২৪ ১১:১৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০১-০৭-২০২৪ ১১:১৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ২০ দিন পরও ধরা ছোঁয়ার বাইরে ‘পিস্তল বাবু’ সংগৃহীত
পটুয়াখালীর বাউফলে কলেজ ছাত্রীকে (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি আসাদুজ্জামান বাবু মৃধা ওরফে পিস্তল বাবুকে দীর্ঘ ২০ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত ১২ জুন বগা ইউনিয়নের শাপলাখালী গ্রামে ডা. ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রী ধর্ষণের স্বীকার হয়। এ ঘটনায় ১৪ জুন পিস্তল বাবুকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী। বাবু ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে জড়িত।

ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন কলেজ ছুটির পরে তার বাড়িতে ঘরের কাজে নিয়োজিত কাঠ মিস্ত্রি সোহেল খলিফার সাথে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বগা ইউনিয়নের শাপলাখালী গ্রামে পৌঁছালে স্থানীয় বখাটেদের নিয়ে তাদের পথরোধ করে পিস্তল বাবু। পরে ভুক্তভুগীকে হাত ধরে টেনে জনৈক শিকদার বাড়ির সামনের একটি টিনসেট ঘরে ঢুকিয়ে পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পরে মিস্ত্রি সোহেলকে ডেকে তাকে দিয়েও ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করায় বাবু এবং এই ঘটনা সে মুঠোফোনে ধারণ করে রাখে। এরপর ওই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ওই কাঠ মিস্ত্রির কাছ থেকে টাকাও আদায় করে পিস্তল বাবু।

তবে অদৃশ্য ক্ষমতাবলে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন সে, ঘটনার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি পিস্তল বাবুকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান বলেন, আসাদুজ্জামান বাবু মৃধা স্থানীয়দের কাছে আতঙ্কের এক নাম। সে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়ে এলাকার মানুষের ক্ষতি করেছে। এমনকি ফেসবুকে আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি দিয়ে পুলিশের হাতে আটকও হয়েছিল সে। এরপর সবাই তাকে পিস্তল বাবু নামেই চেনে।

বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ঘটনার সাথে সাথেই একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামি বাবুকে গ্রেফতারের জন্য জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ