ড. ইউনূস জানান, দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। নতুন বাংলাদেশে নির্বাচন, বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম এবং সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের জন্য ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনগুলোর সুপারিশ অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানোর পরই ভোটার তালিকা তৈরি হবে। এরপরই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
বৈঠকে ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বাংলাদেশে আইএমএফের সমর্থনের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তিনি ড. ইউনূসের উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন দেন এবং বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তার বিষয়টি দ্রুত ট্র্যাক করা হবে। এ লক্ষ্যে আইএমএফের একটি দল ঢাকায় অবস্থান করছে এবং তারা আগামী মাসে পরিচালনা পর্ষদের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।
জর্জিয়েভা আরো বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ঋণদান কর্মসূচি চালু করতে পারে অথবা বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আরো ঋণ দিতে পারে। বাংলাদেশের চলমান সংস্কারের প্রশংসা করে তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বাংলাদেশ ২.০’ বলে আখ্যা দেন এবং সংস্কারের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আইএমএফের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহনবিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। ড. দেবপ্রিয় বাংলাদেশের অর্থ প্রদানের ভারসাম্য সুদৃঢ় করতে আইএমএফের সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং বিনিময় হার স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে আইএমএফের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।