ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

যে কারণে সকালের নাশতা জরুরি

ভয়েস প্রতিদিন ডেস্ক
আপলোড সময় : ২৮-১০-২০২৪ ১০:২০:৫৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৮-১০-২০২৪ ১০:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন
যে কারণে সকালের নাশতা জরুরি
সকালের নাশতা অনেকেই অবহেলা করেন। মূলত সকালে খেতে ভালো লাগে না বা ঘুম থেকে দেরি করে উঠে দ্রুত কাজের জন্য বের হলে সকালে নাশতা করার সময় থাকে না। এসবের ফলে আমাদের শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পড়ে। যা হঠাৎ অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এ অভ্যাস।

সকালের নাশতা সারাদিনের শক্তির যোগান দেয়। রাতের খাবারের পর ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা না খেয়ে থাকার পর আরও বেশি সময় না খেয়ে থাকলে এটি শরীরের বিপাকক্রিয়া নষ্ট করে দেয়। তাই চিকিৎসকরা সকালের খাবারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন।যারা সকালের নাশতা মিস করেন, তারা সারাদিন ক্লান্ত ও দুর্বলতা অনুভব করেন। অনেকে মনে করেন সকালের নাশতা না খেলে ওজন কমে। এ ধারণা ভুল। পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর নাশতা দৈহিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের বিপাক ক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয় এবং সারাদিন ধরে প্রচুর শক্তি খরচ করতে সহায়তা করে। যদি নাশতা বাদ দেয়া হয়, তাহলে কাজ করার ইচ্ছা ও কর্মক্ষমতা কমে যায়।

এ কারণে সকালের নাশতায় অবশ্যই সুষম খাবার রাখা প্রয়োজন। শর্করার দিকে জোর দিতে হবে। শর্করা ও প্রোটিনের দিকে জোর বেশি দিতে পারেন। কারণ এগুলো দেহে সেরোটোনিন নিঃসরণ করে। যা মন, মেজাজ ও মানসিক অবস্থাকে উন্নত করে। ফলে মন হয়ে ওঠে সজীব ও সতেজ। 
সকালের নাশতায় পর্যাপ্ত পানি ও ফল রাখুেন। পানীয় হিসেবে পান করতে পারেন গ্রিনটি, লাচ্ছি, ঘোল, ইসুবগুল অথবা টক দইয়ের শরবত। 

যদি সম্ভব হয় সকালের নাশতা সকাল ৯টার মধ্যে কমপ্লিট করার চেষ্টা করুন। যেহেতু এটা দিনের প্রথম খাবার এবং আগের রাতের পরিপূরক, সে কারণে আগের রাতের খাওয়ার সময়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই নাশতার সময় ঠিক করুন। মাথায় রাখবেন, রাতের খাবার ও সকালের নাশতার মধ্যে যেন ১২ ঘণ্টার বেশি ব্যবধান না হয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Voice Protidin Desk

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ