ব্যবসায়িক সম্ভাবনায়ও বাড়ছে না বাংলাদেশি কন্টেইনার জাহাজ
ভয়েস প্রতিদিন ডেস্ক
আপলোড সময় :
২৮-১০-২০২৪ ১০:৩৮:১১ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
২৮-১০-২০২৪ ১০:৩৮:১১ পূর্বাহ্ন
ছবি:সংগৃহীত
ব্যাপক ব্যবসায়িক সম্ভাবনার পাশাপাশি আইনি সুরক্ষা সত্ত্বেও সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনে বাড়ছে না বাংলাদেশি মালিকানাধীন কন্টেইনারবাহী জাহাজের সংখ্যা। এতে প্রতি বছর আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনে লাখ লাখ ডলার চলে যাচ্ছে বিদেশিদের হাতে। এদিকে, সিদ্ধান্ত এখনও আলোচনা পর্যায়েই রয়ে গেছে শিপিং করপোরেশনের কন্টেইনারবাহী ৬টি জাহাজ কেনার।
স্বাধীনতার পর পরই বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) বাল্ক জাহাজে করে পণ্য পরিবহন শুরু করলেও কন্টেইনারবাহী জাহাজের বাংলাদেশি যুগ শুরু হয় মাত্র চার বছর আগে। বাংলাদেশি মালিকানাধীন কর্ণফুলী গ্রুপের এইচ আর শিপিং ২০২০ সাল থেকে শুরু করে দুবছরে ৮টি জাহাজ রেজিস্ট্রেশন করে। অবশ্য এরপর আর কোনো কন্টেইনারবাহী জাহাজের নিবন্ধন হয়নি।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১০২টি জাহাজের মধ্যে কন্টেইনার পরিবহন করছে মাত্র ৮টি। অথচ বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনে কন্টেইনারবাহী জাহাজের রয়েছে ব্যাপক ব্যবসায়িক সম্ভাবনা।
চট্টগ্রাম নৌবাণিজ্য অধিদফতরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে দুবাইটাও যদি আমরা কন্টিনিউ করতে পারি, সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে চীন থেকে মালামাল এনে এখানে অ্যাসেম্বল করে আমরা আবার দুবাই পাঠাতে পারছি। যত বেশি লাইন ডেভেলপ হবে, তত বেশি কার্গো ফ্লো স্মুথ হবে। সে সঙ্গে আমাদের বিজনেস এলিজিবিলিটিও বাড়তে থাকবে।’
চাহিদা অনুযায়ী জাহাজ না থাকলেও কন্টেইনারবাহীসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজকে সুরক্ষা দিতে আগেই আইন করে রাখা হয়েছে। এমনকি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিংয়ের সুবিধার্থে পৃথক জেটির ব্যবস্থা করে রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। অধিকাংশ বাল্ক জাহাজ বহিঃনোঙ্গরে পণ্য খালাস করলেও কন্টেইনারবাহী জাহাজকে বন্দরের জেটিতে বার্থিং নিয়ে হ্যান্ডলিং করতে হয়।চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘দেশীয় ফ্ল্যাগ ভ্যাসেল হ্যান্ডেল করার জন্য আমাদের বার্থিং কোটাও রয়েছে। আমরা তাদের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে, অয়েল ট্যাংকার এবং বাল্ক জাহাজ ভাড়া দিয়ে লাভের মুখ দেখা বিএসসির কন্টেইনারবাহী ৬টি জাহাজ কেনার একটি প্রকল্প নিয়েছিলো কয়েক বছর আগেই। জি টু জি চুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৩ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকায় এ জাহাজগুলো কেনা হবে। প্রতিটি জাহাজের কন্টেইনার বহন সক্ষমতা থাকছে দুই থেকে আড়াই হাজার টিইইউএস। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরের ৩০ থেকে ৩৬ মাসের মধ্যে জাহাজগুলো বুঝে পাওয়ার আশা করছেন বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক।
বর্তমানে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ৮টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ ছাড়াও ৭৯টি বাল্ক পণ্যবাহী জাহাজ, ৬টি ট্যাংকার, ৫টি অয়েল ট্যাংকার, ৩টি গ্যাস কেরিয়ার এবং ১টি কার্গো শিপ রয়েছে।
ছরের চট্টগ্রাম বন্দর ৩০-৩২ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করছে। আর এসব কন্টেইনার আনা নেয়ার কাজ ব্যবহার হচ্ছে ৩ হাজারের বেশি জাহাজ। এরমাঝে বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ রয়েছে মাত্র ৮টি। অথচ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজকে সুরক্ষা দিতে রয়েছে স্বতন্ত্র আইন। এরপরও বাড়ছে না কন্টেইনারবাহী জাহাজের সংখ্যা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Voice Protidin Desk
কমেন্ট বক্স