রামগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে হত্যার হুমকি, নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ
জাকির পাটোয়ারী
আপলোড সময় :
০৪-১২-২০২৩ ০৮:৩০:১৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৪-১২-২০২৩ ০৮:৩১:৪৪ অপরাহ্ন
ছবি:ভয়েস প্রতিদিন
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর -১ রামগঞ্জ সংসদীয় আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন,পৌর সভার কাউন্সিলর মেহেদী হাসান শুভ, যুবলীগ নেতা মিল্লাত হোসেন, আরিফ হোসেন,ফরিদ খলিফা, এমরান হোসেন এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবীবুর রহমান পবন।
লিখিত অভিযোগ সহ হাবীবুর রহমান পবন বলেছেন আমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য।আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র পদে যেকোন ব্যক্তিকে ভোট করতে বিধিনিষেধ তুলে দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন।
প্রধান মন্ত্রীর বক্তব্যকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ সকল আসনে কমবেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন ফরম জমা দিয়েছেন। আমি লক্ষ্মীপুর -১ রামগঞ্জ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফরম জমা দিয়েছি।নির্বাচনী নিয়ম মোতাবেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শতকরা এক পার্সেন্ট ভোটারদের গণস্বাক্ষর আনতে হয়।এক পার্সেন্ট ভোটার হিসেবে ২৬ শত ভোটারদের গণস্বাক্ষর নিতে হয়। আমি তিন হাজার ভোটারদের গণস্বাক্ষর জমা দিয়েছি।
নৌকার প্রার্থী ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন সহ তাঁর অনুসারী মেহেদী হাসান শুভ, আরিফ হোসেন, এমরান হোসেন,ফরিদ খলিফা, মিল্লাত হোসেন সহ আরও অনেকে,গণস্বাক্ষরকৃত ১০ জন নিরিহ ভোটারদের নাম সংগ্রহ করে তাহাদের বাড়ি গিয়ে গণস্বাক্ষর করার কারণে হুমকি দিয়ে,নির্বাচন অফিস থেকে তদন্ত আসলে গণস্বাক্ষর ফরমে স্বাক্ষর করা অস্বীকার করতে বাধ্য করেছেন।নৌকার প্রার্থীর সিলেকশন করা ১০ জন গণস্বাক্ষরকারীর নাম উল্লেখ করে জেলা রির্টানিং অফিসার কাছে আবেদন করেন।জেলা রিটানিং অফিসার আবেদনে উল্লেখিত ১০ জন ভোটার গণস্বাক্ষর যাচাই বাছাই করতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন।
তদন্তকালে ২জনে স্বীকৃতি দেন, দুইজন ভয়ে মুখ খোলেননি, একজনের নাম রতন পালের স্থলে তদন্তকারীরা ভুলে রত্ম পাল লিখেছেন।পরেই ভুল গনস্বাক্ষর হয়েছে বলে তদন্ত রির্পোট দেন। জেলা রির্টানিং অফিসার যাছাই -বাছাই গণস্বাক্ষর সঠিক নহে বলে নির্বাচন ফরম বাতিল করছেন। ইতিমধ্যে আমি আমার প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করেছি।
আবেদনে আরও উল্লেখ রয়েছে গত শনিবার রামগঞ্জ জোড় কবরস্থান সামনে দিয়ে আমি মাইক্রোবাসে করে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার সময় কাউন্সিলর মেহেদী হাসান শুভ, এমরান হোসেন, ফরিদ খলিফা আমার মাইক্রোবাসের পিছন থেকে দাওয়া করেছেন। একপর্যায়ে পানপাড়া ফয়েজ উল্যাহ বাড়ির সামনে আমার গাড়ীর ড্রাইভার সহ গাড়ীতে ৪/৫ জনকে অকাট্য গালমন্দ,হত্যার হুমকি, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে, এলাকায় ছেড়ে অন্যত্রে চলে যেতে , নতুবা প্রাণ কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেন।এমন ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করে নির্বাচন কমিশনের কাছে দিয়েছি।এ ছাড়াও আমার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যঙ্গচিত্র , অযাচিত অশোভন মন্তব্য পোষ্ট করার স্কীন সর্ট সহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিয়েছি।
প্রতিপক্ষ ড. আনোয়ার হোসেন খাঁনকে একাধিক ফোন করেও তাঁর বক্তব্য কিংবা মতামত নেওয়া হয়নি। মেহেদী হাসান শুভ, এমরান হোসেন,মিল্লাত হোসেন জানিয়েছেন হাবীবুর রহমান পবন এর ড্রাইভার আমাদেরকে গাড়ী ছাপা দেওয়ার কারণে রাগের মাথায় গাড়ি ড্রাইভ করতে শর্তকভাবে চলাচল করতে বলেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা সারমিন ইসলাম বলেছেন অভিযোগ জেলা রির্টানিং ও নির্বাচন কমিশন কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।ঘটনাটি সত্য হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবন্থা নেওয়ার
নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain
কমেন্ট বক্স