ঢাকা , রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫ , ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |

জাল-জালিয়াতি

রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ আবু সুফিয়ান গংদের বিরুদ্ধে

নিজেস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় : ০৩-০৮-২০২৫ ০২:১২:০৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০৩-০৮-২০২৫ ০২:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ আবু সুফিয়ান গংদের বিরুদ্ধে
ডেস্ক রিপোর্টঃ জাল দলিল, জাল সই- স্বাক্ষর,ডুবলিকেট মানুয সৃষ্টি, নকল জমির মালিক দেখানো, জাল স্ট্যাম্প ও ব্যাংকের মানি রিসিট নকল করে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে আবু সুফিয়ান ও তার সহযোগী বিহারী আনোয়ার ওরফে কথিত কুষ্টিয়ার আনোয়ােরের বিরুদ্ধে। তার সাথে এমন অবৈধ কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে সন্ত্রাসী আনোয়ার ওরফে কথিত দাদা আনোয়ার বিরুদ্ধে, এখানে শেষ নয় তাদের সাথে জমি দখলদারিত্ব ও এমন কর্মকাণ্ডে সকল প্ল্যানিং এর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে নাম এসেছে আবু সুফিয়ান নামে এক ব্যক্তির নাম। দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পিতা অজ্ঞাত বিহারী আনোয়ার বাড়ি নম্বর ৩২,সড়ক নম্বর ৪- ধানমন্ডি, ঢাকার ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা মিলে অবৈধ পন্থায় বেশ কয়েকটি প্লট ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি বিহারী মালিকদের নামে তৎকালীন ডিআইটি অনুমোদন প্রদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৭১ ইং মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বেশিরভাগ প্লট গ্রহীতা তাদের প্লটগুলো যেখানে যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় ফেলে রেখে পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। এই সুবাদে আনোয়ার ও আবু সুফিয়ান গংরা নিচে উল্লেখিত প্লটগুলো জাল দলিল, জাল সই -স্বাক্ষর, ডুবলিকেট মালিক সৃষ্টি সহ জাল ব্যাংকের মানি রিসিট ইত্যাদি নকল করে বাংলাদেশে কিছু স্বার্থ লিপ্সু মহলের কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মালিক দেখিয়ে ভুয়া জাল দলিল দাখিল করে রাজউকের কিছু অসৎ কর্মচারী কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে প্লটগুলো বিহারী আনোয়ার এর মাধ্যমে বেহাত করে। যারা রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও জালিয়াতির এক নজিরবিন ঘটনা। আনোয়ারের জালিয়াতির প্লটগুলো হল -রোড নং ২ সেক্টর ৩ রাজলক্ষী প্লাজা ও সিঙ্গাপুর প্লাজার মাঝে দুই বিঘার প্লট, প্লট নং ১৬ রোড নং ২ সেক্টর ৩ উত্তরা, প্লট নং ১০ রোড নং ২ সেক্টর ৩ এম এম হোসেন মিরপুর সাড়ে ১০ বিহারী পল্লী মিরপুর ঢাকা। এছাড়া রোড নং ৭৫ বাড়ি নং ১( ই- এফ) গুলশান ২ ঢাকা। রোড নং ৯৮ এবং ৯৫ এর কর্নার ৬ নং প্লট গুলশান ২ ঢাকা, রোড নং-৯০ প্লট নং ২০ এবং ২০(এ) ৩৩ এবং ৩৫ নতুন এই জমির মালিক আনোয়ার আলম মিরপুর সাড়ে ১০ বিহারী পল্লী। আরো রয়েছে প্লট নং ৪৫ রোড নং ৪৬ গুলশান ২ মালিক কাইয়ুম আহমেদ মিরপুর সাড়ে ১০ বিহারী পল্লী, প্লট নং ৪৩ রোড নং ৪১ গুলশান ২ ঢাকা, রোড নং ৪৮ ক্যানাডিয়ান সাবেক এম্বাসির বিপরীত পাশে, প্লট নং ১৭ রোড নং ৩৬ গুলশান ২ ও নায়ক রাজ্জাকের বাড়ির পশ্চিম পাশে এই জমিগুলো। এখানে শেষ নয় আনোয়ার এন্ড গংরা বর্তমানে জমি কেনা বেচা সহ অবৈধ কার্যক্রমে এক মাফিয়া সিন্ডিকেটের নাম। তাদের নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি সাধারন ডায়েরী ও রয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়। এদের অত্যাচারে অত্যাচারিত এক অসহায় নারী ভুক্তভোগীকে পাওয়া গেছে যার নাম নাসরিন আক্তার মৌ। এই ভুক্তভোগী সম্প্রতি খিলক্ষেত থানায় তাকে চাঁদার জন্য মৃত্যুর হুমকি দিয়েছেন উল্লেখ করে একটি সাধারন ডায়েরি করেন। হুমকি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই বাদী বলেন, আমি এই রাষ্ট্রবিরোধী ভূমি দস্যুদের কাছ থেকে বাঁচতে চাই, তারা আমাকে চাঁদার জন্য নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে, তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আমি প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি। তিনি আরও বলেন,কুষ্টিয়ার আনোয়ার ও আবু সুফিয়ান প্লট জালিয়াতির মালিক সিজন করে সরকারের সম্পত্তি আত্মসাৎ এর মাধ্যমে ধানমন্ডি ৪ নম্বর রোড বাড়ি নং ৩০,এর বাড়িটি ৯০ কোটি টাকা বিক্রি করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার জীবন ভিক্ষা চাই, এদের কাছ থেকে বাঁচতে চাই। এ বিষয়ে জানতে আবু সুফিয়ান ও কুষ্টিয়া আনোয়ারের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SM Sohel

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ