মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ নেই: জাতিসংঘ
নিজেস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় :
২৩-০১-২০২৪ ১১:০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
২৩-০১-২০২৪ ০২:৩৪:০১ অপরাহ্ন
সংগৃহীত
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের অনুকূলে নেই বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এছাড়া, মর্যাদার সাথে নিরাপদে ফেরার মত পরিবেশও তৈরি হয়নি দেশটিতে- এমন অভিমত পোষণ করল জাতিসংঘ।
২২ জানুয়ারি স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সংবাদদাতা জানতে চেয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে উদ্বিগ্ন গোটাবিশ্ব। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। ১২ লাখের অধিক রোহিঙ্গা প্রায় ৭ বছর যাবত বাংলাদেশের কক্সবাজার শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে। নিজ ব্সতভিটায় ফিরতে না পারার হতাশা ও ক্ষোভে শরণার্থী শিবিরের অনেকে ক্রমান্বয়ে হিংস্র হয়ে উঠছে।
এ অবস্থা দীর্ঘতর হলে তা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি শরণার্থীদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণও কমানো হয়েছে। এমন একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কোনও পরিকল্পনা আছে কি?
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, মর্যাদা সমুন্নত থাকে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত রয়েছে-এমন পরিবেশ বিরাজ করলেই কেবলমাত্র রোহিঙ্গা শরণার্থীরা স্বেচ্ছায় নিজ বসতভিটায় ফিরতে পারবে।
এর আগে কোনও শরণার্থীকেই মিয়ানমারে ফিরে যাবার কথা বলা সঙ্গত হবে না। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অবলম্বন করাও সমীচিন নয়। আর এটা তো পরিষ্কার যে, মিয়ানমারে বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ নেই।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যারা আশ্রয় দিয়েছে, উদারতা প্রদর্শন করেছে শরণার্থীদের আতিথেয়তায়, সেই কক্সবাজার এলাকার মানুষের সাথে আমাদের সকলের অর্থাৎ মানিবিকতাসম্পন্ন বিশ্বের সংহতি প্রকাশ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন। সে এলাকার মানুষের মহানুভবতা প্রত্যক্ষ করেছেন। ডুজারিক উল্লেখ করেন, শরণার্থীদের জন্য তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো দরকার। এটা খুবই জরুরি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain
কমেন্ট বক্স