ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

এক দশকের মধ্যে গত বছর সমুদ্রে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা মারা গেছেন

আপলোড সময় : ২৪-০১-২০২৪ ১১:৫৬:০৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৪-০১-২০২৪ ১১:৫৬:০৩ পূর্বাহ্ন
এক দশকের মধ্যে গত বছর সমুদ্রে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা মারা গেছেন সংগৃহীত
এক দশকের মধ্যে গত বছরে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন সমুদ্রে। মিয়ানমার বা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে অন্যত্র পাড়ি দেয়ার চেষ্টাকালে তারা মারা গেছেন না হয় নিখোঁজ হয়েছেন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা কমপক্ষে ৫৬৯।

২০১৪ সালের পর এই সংখ্যা এক বছরে সর্বোচ্চ। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সি ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। তারা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের এসব মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।  

ইউএনএইচসিআর-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, আন্দামান সাগর বা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টাকালে রোহিঙ্গারা হয় মারা যান না হয় নিখোঁজ হয়ে যান। এভাবে মৃত বা নিখোঁজ রোহিঙ্গার মোট সংখ্যা প্রায় ৪৫০০।

২০১৪ সালে নিহত বা নিখোঁজের মোট সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ৭৩০। ইউএনএইচসিআর তার বিবৃতিতে আরও বলেছে, সমুদ্রপথে পালানোর সময় এসব রোহিঙ্গার ওপর ভয়াবহ নির্যাতন ও বিপথগামী করার অভিযোগ করেছেন জীবিত বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা।

তার মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা তো আছে। বিবৃতিতে বলা হয়, যারা এভাবে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেছেন তার মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে এবং কম করে হলেও মিয়ানমার থেকে পালানোর চেষ্টা করে। 

২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নৃশংসতার ফলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয় মোট কমপক্ষে ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম। তারা কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে বসবাস করছে বাঁশ ও প্লাস্টিকে নির্মিত ক্যাম্পে।

ওদিকে ২০২১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার শাসন করছে সেনাবাহিনী। এসব রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার সামান্যই আগ্রহ দেখিয়েছে সেখানকার সামরিক জান্তা। দেশে এসব রোহিঙ্গাকে দেখা হয় বিদেশি হিসেবে। তাদের কোনো নাগরিক অধিকার নেই। তারা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকারে পরিণত হন।
 
আশ্রয় শিবিরে তাদের জীবনের সম্ভাবনা ক্ষীণ এবং মিয়ানমারে ফিরে গিয়ে সেখানে পুনর্বাসিত হওয়ার আশা ক্রমশ হারিয়ে যাওয়ার ফলে বহু রোহিঙ্গা বোটে করে নতুন জীবনের সন্ধানে অন্য দেশের উদ্দেশে সমুদ্র পাড়ি দিতে বাধ্য হন।

ইউএনএইচসিআর বলছে, শুধু গত নভেম্বরে আন্দামান সাগরে বোট ডুবে প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা জীবন হারিয়েছেন। এমন ভয়াবহ ট্রাজেডি ভবিষ্যতে বন্ধ করতে আঞ্চলিক উপকূলীয় কর্তৃপক্ষগুলোকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সময়মতো উদ্ধার অভিযান পরিচালনা না করার জন্য এমন বহু মানুষ মারা যাচ্ছে উপকূলীয় দেশগুলোর চোখের সামনে। জীবন বাঁচানো এবং সমুদ্রে দুর্দশাগ্রস্তদের উদ্ধার করা একটি মানবিক বাধ্যতামূলক কাজ। আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের অধীনে এটি সবার জন্য একটি দায়িত্ব।  

নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ