রোহিঙ্গা থেকে বাংলাদেশি হতে খরচ ত্রিশ হাজার টাকা
আপলোড সময় :
২০-০২-২০২৪ ১১:৩৫:১১ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
২০-০২-২০২৪ ১১:৩৫:১১ পূর্বাহ্ন
সংগৃহীত
রোহিঙ্গাদের ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ সরবরাহ করছেন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটররা। এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য গড়ে উঠেছে একটি চক্র। আর এসবের জন্য মাত্র ৩০ হাজার টাকা খরচ করলেই একজন রোহিঙ্গা কাগজপত্রে বনে যাচ্ছেন বাংলাদেশি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের কাগজপত্রে বাংলাদেশি বানানোর একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, দিনাজপুরের বিরল পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটর আব্দুর রশিদ, বিরলের রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর সোহেল চন্দ্র এবং শহিদুল ইসলাম মুন্না, রাসেল খান ও মোস্তাফিজুর রহমান।
সংবাদ সন্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে এসব ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ করে দিচ্ছেন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটররা। এই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
তিনি জানান, জনসাধারণ ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে থাকে। এক্ষেত্রে পৌরসভার মেয়র, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ সচিব তাদের নির্দিষ্ট আইডির মাধ্যমে কাজটি করে দেন। পরে সেগুলো সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে নিবন্ধনকারী দেখতে পান।
এক্ষেত্রে ঝামেলা এড়াতে পৌরসভা কিংবা ইউনিয়নের কম্পিউটার অপারেটরদের কাছে নিজেদের আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন মেয়র, চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের ওই আইডির অ্যাক্সেস ব্যবহার করেই রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন সরবরাহ করে আসছিল চক্রটি। জন্ম নিবন্ধন করার পর অসংখ্য রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রও নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, চক্রটি বাগেরহাট, নারায়ণগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলার ভিন্ন ভিন্ন থানা এলাকা থেকে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন করে দিত। এজন্য ফেসবুকে বিভিন্ন নামে পেজ খুলে প্রচারণা চালাত তারা। তাদের মাধ্যমে অনেক দাগি আসামিও নিজের নাম-পরিচয় পাল্টিয়ে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন নিয়েছে। আবার অনেকে ভুয়া পাসপোর্টও তৈরি করছে।
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, এই চক্রের মাধ্যমে অনেক অপরাধী আরেকটি জন্ম নিবন্ধন করে তাদের পরিচয় গোপন করে নতুন করে অপরাধ শুরু করছে। ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে এই জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করেছে। যাতে ব্যাংক লোন ও অনলাইন অপরাধে পুলিশকে ফাঁকি দিতে পারে। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain
কমেন্ট বক্স