ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপি বলে রূপপুর বন্ধ করবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়ে গেছে। দুইটা চালান এসে গেছে ইউরেনিয়ামের। পুতিনকে দেখছেন? হস্তান্তর করেছে। কী হবে বাংলাদেশের? আলো ঝলমলে পরিবেশ হবে।'
সোমবার বিকেলে গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
'আর ফখরুলের অন্তর জ্বালা, কী অন্তরজ্বালা রূপপুর বন্ধ করে দিতে হবে। রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায়, তাদের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেবো। কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু গয়েশ্বরের মাথায়, কিছু মির্জা আব্বাসের মাথায় ঢালা হবে। ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেবো, ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করব না। এই যে লাফালাফি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না, বেশি লাফালাফি করলে খবরদার খারাপ হবে,' বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
যে কোনো পরিস্থিতিতে জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'জানুয়ারিতে ভোট হবে, ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল, নভেম্বর কোয়ার্টার ফাইনাল। ভোট হবে, খেলা হবে হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে। খেলা হবে সারা বাংলায়, খেলা হবে সারা ঢাকায়, সারা চট্টগ্রামে, সারা বরিশালে, সারা রাজশাহীতে, সারা সিলেটে। হবে খেলা, খেলা হবে জোরে জোরে ফাউল করলে লাল কার্ড, ফাউল করলে হলুদ কার্ড।'
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ফখরুল বলে ঢাকা অচল করে দেবে। অক্টোবর মাসে ঢাকা অচল করতে এলে ঢাকাবাসী বিএনপিকে অচল করে দেবে। নিজেরাই অচল হয়ে যাবে। আমরা প্রস্তুত। এই যে দেখুন। আজকে এই মিরপুর এলাকায় বনানী পর্যন্ত মিছিলের নগরী।'
উপস্থিত নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু একটা মানুষও কি না খেয়ে মরছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে না খেয়ে মরতে দেবেন না। তার কথা আমি খাব না, তবুও মানুষকে খাওয়াব। মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, মানুষ বাঁচলে আওয়ামী লীগ বাঁচবে, মানুষ বাঁচলে মুক্তিযুদ্ধ বাঁচবে।'
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।