রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ ও দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে চলাকালে গাড়িতে দেয়া আগুনের ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চারপাশ। ধোঁয়া দেখে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বেলা ৩টার দিকে পল্টন মোড়ে কালো ধোঁয়া দেখেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। এসময় জিরো পয়েন্টের সামনে থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা দৌড়ে গোলাপ শাহ মাজারের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে সমাবেশস্থলে ব্যাপক হুড়োহুড়ি শুরু হয়। হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী এ সময় আহত হয়েছেন।
সাইমুন ইসলাম মুন নামে যুবলীগের এক কর্মী বলেন, ‘ওদিকে গণ্ডগোল হয়েছে। বিএনপির সন্ত্রাসীরা পল্টনে আগুন দিয়েছে। সেটা দেখেই কিছু নেতা-কর্মী আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করেছেন।’
গাজীপুর থেকে সমাবেশে আসা মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মী শাহীনুর আলম বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি থেকে আমাদের এখানে (সমাবেশ এলাকায়) হামলার চেষ্টা চালানো হয়। এ কারণে কিছুটা হুড়োহুড়ি হয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা পল্টন মোড়ের দিকে এগিয়ে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকতে কেউ নৈরাজ্য করার কোনো সুযোগ পাবে না।’
এদিকে নেতা-কর্মীদের দৌড়াদৌড়ি দেখে সমাবেশের মঞ্চ থেকে জোরে জোরে স্লোগান দিতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের। মাইকে ঘোষণা দিয়ে এসময় তারা সবাইকে হুড়োহুড়ি না করার আহ্বান জানান। সবাইকে বসতে বললে পরিস্থিতি শিগগিরই শান্ত হয়ে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এদিকে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আসা বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর হাতে বাঁশের লাঠি, ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প, হকিস্টিকসহ বিভিন্ন লাঠি দেখা গেছে। অনেকের লাঠির মাথায় জাতীয় পতাকাও বাঁধা ছিল।