ভোলা প্রতিনিধি:-
চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে আসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাশেম মেলেটারির বিরুদ্ধে।
চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে আসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাশেম মেলেটারির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ কারি ভোলা চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো: ফিরোজ প্লাবন কিবরিয়া।
উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস ও চরফ্যাশন থানার জিডির সুত্রে জানাযায়, রবিবার আনুমানিক বিকেল ৫:৩০মিনিটে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষতিগ্রস্ত থেকে বাঁচতে আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষের খোঁজ-খবর নিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ কিবরিয়া আসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদে যান।এসময় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলা থেকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাশেম মেলেটারি মারমুখী হয়ে বাদা প্রদান করে বলেন এই আসলামপুর আমার দখলে আমি যার নির্বাচন করবো এখানে তার প্রচারণা চলবে, তুমি এখানে ঢুকবা না এই এলাকার মানুষের কাছে কোনো ধরনের প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবা না। এবং ফিরোজ কিবরিয়ার সাথে থাকা লোকজনের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, এসময় সাংবাদিক সহ ফিরোজ প্লাবন কিবরিয়ার লোকজন ছবি তুলতে গেলে কাশেম চেয়ারম্যান ও তার লোকজন তাদের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেয় এরপর সাংবাদিকরা মোবাইল উদ্ধার করে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজ প্লাবন কিবরিয়া বলেন, আমি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচারণা করে থাকি, সাধারন মানুষের যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে আমার প্রতি। গতকাল আমি আসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আশ্রয় নেয়া সাধারণ মানুষের খোঁজ-খবর নিতে। আমি পরিষদে ঢুকতেই কাশেম মেলেটারি আমাকে ভিতরে না ঢোকার জন্য হুমকি প্রদান করে, এবং আমার লোক জনের উপর হামলা সহ তাদের মোবাইল কেড়ে নেয়। সে অন্য কাউকে সমর্থন করতেই পারে তাই বলে আমার প্রচারণার কাজে বাধা দিতে পারেনা। এই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করছি।
তিনি আরো বলেন, বিরোধী প্রার্থীর লোকজন বিভিন্ন ভাবে আমার নিকট আত্মীয়-স্বজন ও একনিষ্ঠ কর্মীদেরকে নির্বাচনী কাজে বাধা প্রদান সহ দলীয় পদ কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে,যা আইনের পরিপন্থী । আমি একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই,এই বিষয়ে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন আমি বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উপজেলা নির্বাচন কমিশনার মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।