বিএনপি’র ডাকা হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে।
গতকাল রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকেই শহরের সকল প্রকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
খোলার পাশাপাশি সব ধরনের ছোটবড় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। স্কুল-
কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো পূর্বের মতোই সময়
মতো খুলেছে এবং লোকজনের উপস্থিতিও স্বাভাবিক ছিল। জনজীবনে তেমন
কোনো প্রভাবই পড়েনি বিএনপি’র ডাকা হরতালের প্রভাব নাগরিক জীবনে।
হরতালের সমর্থনে পৌরশহরের কোনো স্থানেই বিএনপি কিংবা এর অঙ্গ
সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।
এদিকে বিএনপির হরতালের প্রতববাদে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অবস্থান
কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। গতকাল
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে উপজেলা দলীয় কার্যালয়সহ ৭টি
ইউনিয়নে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা
হয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
মুশফিকুর রহমান বাবুল বলেন, বিএনপি জামায়াত হরতালের নামে বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। বিএনপি-জামায়াতের সকল প্রকার ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা
প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সব
সময় প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা
চালালে সেটি প্রতিহতসহ দাঁতভাড়া জবাব তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া হবে।
অপরদিকে ফুলবাড়ীতে বিএনপির হরতাল উপেক্ষা করে চলাচল করছে বিভিন্ন
যানবাহন। তবে দূরপাল্লার কোনো যান ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি।
পরিবহন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা জানান, হরতালে নাশকতার আতঙ্কে সড়কে যাত্রী
কম। যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় অন্তঃজেলার মধ্যে চলাচলকারি যাত্রীবাহী বাস
চলাচল করছে। অন্যান্য পরিবহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
হরতাল চলাকালে ফুলবাড়ীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোর থেকে
পুলিশ শহরের মোড়ে মোড়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থান নেয়। একই সঙ্গে
টহল পুলিশ তৎপর ছিল এ সময়।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ফুলবাড়ীর
সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল প্রকার নাশকতা ও সন্ত্রাসীমূলক
কর্মকান্ড প্রতিহত করতে পুলিশ সদস্যরা তৎপর রয়েছে।