আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্যসহায়তা ভর্তুকি কমতে যাচ্ছে। অর্থাৎ খোলাবাজারে স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির ভর্তুকি চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা কমানো হচ্ছে। প্রতি বছর সরকার ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে চাল সাধারণ গরিব মানুষের কাছে বিক্রির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে আসছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৮ কোটি টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ভর্তুকি দেওয়া হয় ৫ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এই ভর্তুকি ৩২২ কোটি টাকা কমিয়ে আগামী বাজেটে ৫ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
মূল্যস্ফীতির হার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি হিসাবে দরিদ্র মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা বৃদ্ধি করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে। সে হিসাবে আগামী বাজেটে খাদ্য ভর্তুকির অঙ্ক বৃদ্ধি পাবে—এমনটাই প্রত্যাশা ছিল।
বাজেট নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় সাধারণ মানুষের জন্য ভর্তুকি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তবে অর্থমন্ত্রণালয় যে বাজেট প্রস্তুত করছে তাতে এই খাতে বরাদ্দ কমানো হতে পারে। অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, খাদ্য সহায়তা বাবদ ভর্তুকি কমানো হলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে খাদ্য আমদানি খাতে সরকারি ব্যয় অনেক বেড়ে যাচ্ছে। চাল ও গম আমদানিতে আগামী অর্থবছরে পৌনে ১৩০০ কোটি টাকা বেশি গুনতে হবে। সবমিলিয়ে ব্যয় পরিচালন করতে আগামী বাজেটে খাদ্য খাতে সম্ভাব্য বরাদ্দ থাকছে ২২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।
এটি চলতি বাজেটের চেয়ে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বেশি। তবে এখন খাদ্য সংগ্রহ ও মজুত খাতে বরাদ্দকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি তার প্রথম বাজেট।
ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ থাকবে অগ্রাধিকারে। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে এটিকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার পদক্ষেপ বাজেটে থাকতে হবে।
বিগত দুই-তিন বছরে দেশে প্রধান প্রধান খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে আছে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির পরিসর বৃদ্ধি করা দরকার নতুন বাজেটে। অপ্রয়োজনীয় সরকারি খরচ কমিয়ে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এই ভর্তুকি ৩২২ কোটি টাকা কমিয়ে আগামী বাজেটে ৫ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
মূল্যস্ফীতির হার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি হিসাবে দরিদ্র মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা বৃদ্ধি করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে। সে হিসাবে আগামী বাজেটে খাদ্য ভর্তুকির অঙ্ক বৃদ্ধি পাবে—এমনটাই প্রত্যাশা ছিল।
বাজেট নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় সাধারণ মানুষের জন্য ভর্তুকি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তবে অর্থমন্ত্রণালয় যে বাজেট প্রস্তুত করছে তাতে এই খাতে বরাদ্দ কমানো হতে পারে। অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, খাদ্য সহায়তা বাবদ ভর্তুকি কমানো হলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে খাদ্য আমদানি খাতে সরকারি ব্যয় অনেক বেড়ে যাচ্ছে। চাল ও গম আমদানিতে আগামী অর্থবছরে পৌনে ১৩০০ কোটি টাকা বেশি গুনতে হবে। সবমিলিয়ে ব্যয় পরিচালন করতে আগামী বাজেটে খাদ্য খাতে সম্ভাব্য বরাদ্দ থাকছে ২২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।
এটি চলতি বাজেটের চেয়ে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বেশি। তবে এখন খাদ্য সংগ্রহ ও মজুত খাতে বরাদ্দকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি তার প্রথম বাজেট।
ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ থাকবে অগ্রাধিকারে। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে এটিকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার পদক্ষেপ বাজেটে থাকতে হবে।
বিগত দুই-তিন বছরে দেশে প্রধান প্রধান খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে আছে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির পরিসর বৃদ্ধি করা দরকার নতুন বাজেটে। অপ্রয়োজনীয় সরকারি খরচ কমিয়ে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।