এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ঘটনা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পাশাপাশি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কার্যক্রম চালাতে গিয়ে উঠে আসছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা ও মাদক পাচারের ঘটনা প্রায় তিন যুগের অধিক সময় ধরে চলে আসছে। সীমান্ত দিয়ে বিনা বাধায় যাচ্ছে।
এই ঘটনার নেপথ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একশ্রেণির কর্মকর্তারা জড়িত। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই অঞ্চলে এপার থেকে যায় স্বর্ণ, আর ওপার থেকে আসে মাদক ও অস্ত্র; অর্থাৎ দুই পারের লোক এটার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘদিন ধরে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সর্বহারাদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এলাকা শান্ত হলেও স্বর্ণ চোরাচালান ও মাদক পাচার কেউ বন্ধ করতে পারেনি। এখানে রাজনৈতিক দলের সাবেক ও বর্তমান বেশকিছু এমপিও জড়িত। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থেকে এমপি পর্যন্ত একশ্রেণির জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা জড়িত।
যে সরকার ক্ষমতায় সেই সরকারের রাজনৈতিক দলের নেতারা স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা ও মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ করে। এই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য নেই। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একজন শ্রমিক নেতা বলেন, একসময় এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের সঙ্গে যারা ঘোরাফেরা করতেন, দিন এনে দিন খাওয়ার মতো অবস্থা যাদের ছিল, তারাও এখন শত শত কোটি টাকার মালিক। অনেকে চা বিক্রি করতেন, অন্যের প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী ছিলেন, তারাও কোটি কোটি টাকার মালিক।
রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে তাদের একাধিক বাড়ি রয়েছে। কারোর বাবা শ্রমিক ছিল, তার ছেলে ক্ষমতাসীন দলের বড় নেতা হয়ে গেছেন। এদের কোনো কলকারখানা নেই, অথচ তারা শত শত কোটি টাকার মালিক। বেশি শিক্ষিতও তারা নন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য যান, তারাও শত শত কোটি টাকার মালিক। থানার ওসিরাও অনেক ধনী হয়ে গেছেন।
এদিকে স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা ও মাদক পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অনেকে স্বর্ণের ব্যবসা করেন। আসল নাকি নকল স্বর্ণ, সেটাও নিয়ন্ত্রণ করে একশ্রেণির স্বর্ণ ব্যবসায়ী। স্বর্ণ পরীক্ষার জন্য সরাসরি সরকারের কোনো পরীক্ষাগার নেই। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পৃথক পরীক্ষাগার আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা অপরাধ দমন করেন, তাদের স্বর্ণ পরীক্ষার ল্যাব থাকা উচিত। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষাগার আছে সিআইডির অধীনে। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও তা হয়নি বলে আক্ষেপ করেন অনেকে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বর্ণ চোরাচালানের নেটওয়ার্ক অনেক শক্তিশালী। তারা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের হাতে কয়েক শ খুন হয়েছেন। তবে একজনেরও বিচার হয়নি। চোখের সামনে খুন হয়েছে, কিন্তু কেউ সাক্ষী দেন না। কারণ যে সাক্ষী দেবে, তাকেও হত্যা করা হয়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মাদক ব্যবসা করে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এই অর্থের বদৌলতে দলীয় নেতা, এমপিও হয়েছে কেউ কেউ। আবার অনেকে বড় বড় ব্যবসায়ী হয়েছেন। হুন্ডি ও স্বর্ণ ব্যবসা করে রাজধানীতে এখন বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। অথচ তারা একসময় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষক ও শ্রমিক ছিলেন। স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে তারা এখন এলাকায় যান কয়েক কোটি টাকার গাড়িতে চড়ে। স্থানীয় অনেকে বলেন, ‘যারা একসময় আমার বাড়িতে কাজ করেছেন, এখন তারা কয়েক কোটি টাকার গাড়িতে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যান। এমপিসহ অনেক জনপ্রতিনিধি রয়েছেন।’
এদিকে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বেনামে অনেক সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। বন্ধু-বান্ধবীদের নামেও বিপুল পরিমাণ সম্পদের দলিল রয়েছে। দুই জন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, বর্তমান দুই জন ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই জন বান্ধবীর নামে অনেক সম্পত্তি রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
তার কাছে একাধিক বন্ধুও এ তথ্য জানিয়েছেন। নগদ অর্থ কোথায় আছে, সেটা ঐ বন্ধুরাই বলতে পারবেন। ওপারেও তার কয়েক জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু রয়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা, যে অঞ্চলে কোনো খুনের বিচার হয়নি, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েও তারা সন্দিহান। অতীতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকঢোল পিটিয়ে তদন্ত করেছেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাক্ষী-প্রমাণের অভাবে একটারও বিচার হয়নি। আলোচনার মধ্যেই এসব হত্যাকাণ্ডের বিচারের সমাপ্তি ঘটে। এর নেপথ্যে যারা রয়েছেন, তারা ঢাকায় থাকেন। আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান তারা নিয়ন্ত্রণ করেন। এরা ডলারও পাচার করেন। এদের সম্পর্কে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই জানে, কিন্তু ধরে না। অপরাধের গুরু হিসেবে বসে আছে তারা।
এই ঘটনার নেপথ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একশ্রেণির কর্মকর্তারা জড়িত। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই অঞ্চলে এপার থেকে যায় স্বর্ণ, আর ওপার থেকে আসে মাদক ও অস্ত্র; অর্থাৎ দুই পারের লোক এটার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘদিন ধরে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সর্বহারাদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এলাকা শান্ত হলেও স্বর্ণ চোরাচালান ও মাদক পাচার কেউ বন্ধ করতে পারেনি। এখানে রাজনৈতিক দলের সাবেক ও বর্তমান বেশকিছু এমপিও জড়িত। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থেকে এমপি পর্যন্ত একশ্রেণির জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা জড়িত।
যে সরকার ক্ষমতায় সেই সরকারের রাজনৈতিক দলের নেতারা স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা ও মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ করে। এই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য নেই। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একজন শ্রমিক নেতা বলেন, একসময় এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের সঙ্গে যারা ঘোরাফেরা করতেন, দিন এনে দিন খাওয়ার মতো অবস্থা যাদের ছিল, তারাও এখন শত শত কোটি টাকার মালিক। অনেকে চা বিক্রি করতেন, অন্যের প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী ছিলেন, তারাও কোটি কোটি টাকার মালিক।
রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে তাদের একাধিক বাড়ি রয়েছে। কারোর বাবা শ্রমিক ছিল, তার ছেলে ক্ষমতাসীন দলের বড় নেতা হয়ে গেছেন। এদের কোনো কলকারখানা নেই, অথচ তারা শত শত কোটি টাকার মালিক। বেশি শিক্ষিতও তারা নন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য যান, তারাও শত শত কোটি টাকার মালিক। থানার ওসিরাও অনেক ধনী হয়ে গেছেন।
এদিকে স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা ও মাদক পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অনেকে স্বর্ণের ব্যবসা করেন। আসল নাকি নকল স্বর্ণ, সেটাও নিয়ন্ত্রণ করে একশ্রেণির স্বর্ণ ব্যবসায়ী। স্বর্ণ পরীক্ষার জন্য সরাসরি সরকারের কোনো পরীক্ষাগার নেই। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পৃথক পরীক্ষাগার আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা অপরাধ দমন করেন, তাদের স্বর্ণ পরীক্ষার ল্যাব থাকা উচিত। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষাগার আছে সিআইডির অধীনে। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও তা হয়নি বলে আক্ষেপ করেন অনেকে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বর্ণ চোরাচালানের নেটওয়ার্ক অনেক শক্তিশালী। তারা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের হাতে কয়েক শ খুন হয়েছেন। তবে একজনেরও বিচার হয়নি। চোখের সামনে খুন হয়েছে, কিন্তু কেউ সাক্ষী দেন না। কারণ যে সাক্ষী দেবে, তাকেও হত্যা করা হয়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মাদক ব্যবসা করে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এই অর্থের বদৌলতে দলীয় নেতা, এমপিও হয়েছে কেউ কেউ। আবার অনেকে বড় বড় ব্যবসায়ী হয়েছেন। হুন্ডি ও স্বর্ণ ব্যবসা করে রাজধানীতে এখন বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। অথচ তারা একসময় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষক ও শ্রমিক ছিলেন। স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে তারা এখন এলাকায় যান কয়েক কোটি টাকার গাড়িতে চড়ে। স্থানীয় অনেকে বলেন, ‘যারা একসময় আমার বাড়িতে কাজ করেছেন, এখন তারা কয়েক কোটি টাকার গাড়িতে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যান। এমপিসহ অনেক জনপ্রতিনিধি রয়েছেন।’
এদিকে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বেনামে অনেক সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। বন্ধু-বান্ধবীদের নামেও বিপুল পরিমাণ সম্পদের দলিল রয়েছে। দুই জন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, বর্তমান দুই জন ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই জন বান্ধবীর নামে অনেক সম্পত্তি রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
তার কাছে একাধিক বন্ধুও এ তথ্য জানিয়েছেন। নগদ অর্থ কোথায় আছে, সেটা ঐ বন্ধুরাই বলতে পারবেন। ওপারেও তার কয়েক জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু রয়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা, যে অঞ্চলে কোনো খুনের বিচার হয়নি, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েও তারা সন্দিহান। অতীতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকঢোল পিটিয়ে তদন্ত করেছেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাক্ষী-প্রমাণের অভাবে একটারও বিচার হয়নি। আলোচনার মধ্যেই এসব হত্যাকাণ্ডের বিচারের সমাপ্তি ঘটে। এর নেপথ্যে যারা রয়েছেন, তারা ঢাকায় থাকেন। আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান তারা নিয়ন্ত্রণ করেন। এরা ডলারও পাচার করেন। এদের সম্পর্কে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই জানে, কিন্তু ধরে না। অপরাধের গুরু হিসেবে বসে আছে তারা।