সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ঘুরাতে নানা তৎপরতা চলছে। এতো দিন পর্যন্ত তার লাশ শনাক্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ ও ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জন গ্রেফতার হয়েছেন, তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তারপরও এখন পর্যন্ত লাশ শনাক্ত হয়নি। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, হত্যাকাল সংঘটিত হলে মামলা এগিয়ে নিতে প্রথম কাজই হলো লাশ শনাক্ত করা।
প্রখ্যাত ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, ‘লাশ শনাক্ত না করা পর্যন্ত কোনো তদন্ত কার্যকর ফল বয়ে আনবে না। অথবা বলা যায় সব তদন্তই নিষ্ফল হবে।’ এদিকে ভারতীয় আইনে কোনো ব্যক্তি সাত বছর নিখোঁজ থাকলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তখন সেখানকার কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির ‘মৃত্যু সনদ’ (ডেথ সার্টিফিকেট) দিতে পারে।
বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, যদি এমপি আনার হত্যার শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে কাদের রক্ষায় ঝিমিয়ে পড়ছে মামলাটি। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এ ঘটনায় জড়িত প্রভাবশালী সাবেক ও বর্তমান এমপি, স্বর্ণ চোরাচালানের মাফিয়াদের রক্ষায় তৎপরতা চালাচ্ছে একটি মহল। অনেকে বলেন, ‘আনার নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক তৎপরতা দেখলাম। ঢাকার ডিবি, পশ্চিমবঙ্গের সিআইডির তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা এপার-ওপার আসা-যাওয়া করলো। তখন আমরা আশা করেছিলাম, হয়তো এই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে। কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থা চলছে, তাতে মনে হচ্ছে ইতিপূর্বে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে স্বর্ণ চোরাচালানিসহ নিজেদের দ্বন্দ্বে সংঘঠিত শতাধিক হত্যাকালের মামলার মতো এ ঘটনার রহস্যও আলোর মুখ দেখবে না। আর যদি পরবর্তী সময়ে বিচার হয়ও, তবুও নেপথ্যের মাফিয়ারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী ঝিনাইদহবাসী।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের খবর জানার পর প্রথম কাজ ছিল, ঘটনা সংঘটনের ওই রুমটিকে ফরেনসিকের আওতায় নিয়ে নেওয়া। ঐ রুমের প্রতিটি কোনায় কোনায় পরীক্ষা করা। সেখানে খুনিদের পায়ের ছাপ ছিল, নানা ধরনের আলামত খুনিরা নিশ্চয় রেখে গেছে। কিন্তু সেসব আলামত রাখা হয়েছে কি না আমরা জানি না। এ ধরনের হত্যাকালে তদন্তে লাশ শনাক্ত করাই হলো প্রধান কাজ। সেটি না করে অন্য তদন্ত বিচারের কাজে আসবে না। আগে লাশটি শনাক্ত করতেই হবে।’
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতো, সংসদ সদস্য আনারের লাশ শনাক্ত করাটা শুধু সদিচ্ছার বিষয়। আদালত রায় দেবে, এরপর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশ শনাক্ত হবে। এসব বিষয় নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কথাবার্তা চলছে। কিন্তু দৃশ্যমান কোন কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, রুমের ভিতরে ল্যাগেজ নিয়ে যাচ্ছ। সেই লাগেজ নিয়ে ভিতরে ঢুকছে, আবার বের হয়েছে। এই লাগেজের ভিতরে হাড় ও মাংস ছিল। তখন তদন্তকারী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। সেই লাগেজ এখন কোথায়? এগুলো এখনো পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। যে দিন হত্যাকাণ্ডটি শনাক্ত হলো, সেদিনই লাশ শনাক্ত করতে পারতো। কিন্তু এসব বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার কারণ সদিচ্ছার ঘাটতি, নাকি প্রভাবশালীদের রক্ষার জন্য এটা করা হয়েছে, এমনও প্রশ্ন এলাকাবাসীর। এমপি আনারের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছাগলকাণ্ডের মতিউরের মতো অনেকে রয়েছেন।
মতিউরের সম্প্রতিকালে উক্তি ছিল, ‘আমি জামাই হিসেবে আছি। জামাইয়ের যদি কিছু হলে শ্বশুরের কাপড় থাকবে না। হাজার হাজার কোটি টাকা তার মাধ্যমে অনেকে বানিয়েছে। আমাকে রক্ষা করার জন্য তারাই মরিয়া।’ ছাগলকাণ্ডের ঘটনার মতো সংসদ সদস্য আনারের ঘটনাও ঠিক সেই দিকেই যাচ্ছে। এমন কথাও শোনা যাচ্ছে, এই মামলা নিয়ে অনেকে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করছেন। সংসদ সদস্য আনারের পরিবারের সদস্যসহ আপনজনদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা নিষেধ। কারা তাদের নিষেধ করেছে, সেই ব্যাপারেও মুখ খোলে না পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।
আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি জানান, সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন এখানো করা হয়নি। এই মামলা নিয়ে তৎপরতা তেমন দেখা যাচ্ছে না। কয়েকজন সংসদ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হলো, অথচ এটা নিয়ে নীরবতা কেন? এটা নিয়ে কেন সোচ্চার হচ্ছে না? জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান সংসদ সদস্যরা।
প্রখ্যাত ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, ‘লাশ শনাক্ত না করা পর্যন্ত কোনো তদন্ত কার্যকর ফল বয়ে আনবে না। অথবা বলা যায় সব তদন্তই নিষ্ফল হবে।’ এদিকে ভারতীয় আইনে কোনো ব্যক্তি সাত বছর নিখোঁজ থাকলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তখন সেখানকার কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির ‘মৃত্যু সনদ’ (ডেথ সার্টিফিকেট) দিতে পারে।
বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, যদি এমপি আনার হত্যার শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে কাদের রক্ষায় ঝিমিয়ে পড়ছে মামলাটি। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এ ঘটনায় জড়িত প্রভাবশালী সাবেক ও বর্তমান এমপি, স্বর্ণ চোরাচালানের মাফিয়াদের রক্ষায় তৎপরতা চালাচ্ছে একটি মহল। অনেকে বলেন, ‘আনার নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক তৎপরতা দেখলাম। ঢাকার ডিবি, পশ্চিমবঙ্গের সিআইডির তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা এপার-ওপার আসা-যাওয়া করলো। তখন আমরা আশা করেছিলাম, হয়তো এই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে। কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থা চলছে, তাতে মনে হচ্ছে ইতিপূর্বে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে স্বর্ণ চোরাচালানিসহ নিজেদের দ্বন্দ্বে সংঘঠিত শতাধিক হত্যাকালের মামলার মতো এ ঘটনার রহস্যও আলোর মুখ দেখবে না। আর যদি পরবর্তী সময়ে বিচার হয়ও, তবুও নেপথ্যের মাফিয়ারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী ঝিনাইদহবাসী।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের খবর জানার পর প্রথম কাজ ছিল, ঘটনা সংঘটনের ওই রুমটিকে ফরেনসিকের আওতায় নিয়ে নেওয়া। ঐ রুমের প্রতিটি কোনায় কোনায় পরীক্ষা করা। সেখানে খুনিদের পায়ের ছাপ ছিল, নানা ধরনের আলামত খুনিরা নিশ্চয় রেখে গেছে। কিন্তু সেসব আলামত রাখা হয়েছে কি না আমরা জানি না। এ ধরনের হত্যাকালে তদন্তে লাশ শনাক্ত করাই হলো প্রধান কাজ। সেটি না করে অন্য তদন্ত বিচারের কাজে আসবে না। আগে লাশটি শনাক্ত করতেই হবে।’
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতো, সংসদ সদস্য আনারের লাশ শনাক্ত করাটা শুধু সদিচ্ছার বিষয়। আদালত রায় দেবে, এরপর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশ শনাক্ত হবে। এসব বিষয় নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কথাবার্তা চলছে। কিন্তু দৃশ্যমান কোন কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, রুমের ভিতরে ল্যাগেজ নিয়ে যাচ্ছ। সেই লাগেজ নিয়ে ভিতরে ঢুকছে, আবার বের হয়েছে। এই লাগেজের ভিতরে হাড় ও মাংস ছিল। তখন তদন্তকারী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। সেই লাগেজ এখন কোথায়? এগুলো এখনো পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। যে দিন হত্যাকাণ্ডটি শনাক্ত হলো, সেদিনই লাশ শনাক্ত করতে পারতো। কিন্তু এসব বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার কারণ সদিচ্ছার ঘাটতি, নাকি প্রভাবশালীদের রক্ষার জন্য এটা করা হয়েছে, এমনও প্রশ্ন এলাকাবাসীর। এমপি আনারের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছাগলকাণ্ডের মতিউরের মতো অনেকে রয়েছেন।
মতিউরের সম্প্রতিকালে উক্তি ছিল, ‘আমি জামাই হিসেবে আছি। জামাইয়ের যদি কিছু হলে শ্বশুরের কাপড় থাকবে না। হাজার হাজার কোটি টাকা তার মাধ্যমে অনেকে বানিয়েছে। আমাকে রক্ষা করার জন্য তারাই মরিয়া।’ ছাগলকাণ্ডের ঘটনার মতো সংসদ সদস্য আনারের ঘটনাও ঠিক সেই দিকেই যাচ্ছে। এমন কথাও শোনা যাচ্ছে, এই মামলা নিয়ে অনেকে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করছেন। সংসদ সদস্য আনারের পরিবারের সদস্যসহ আপনজনদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা নিষেধ। কারা তাদের নিষেধ করেছে, সেই ব্যাপারেও মুখ খোলে না পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।
আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি জানান, সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন এখানো করা হয়নি। এই মামলা নিয়ে তৎপরতা তেমন দেখা যাচ্ছে না। কয়েকজন সংসদ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হলো, অথচ এটা নিয়ে নীরবতা কেন? এটা নিয়ে কেন সোচ্চার হচ্ছে না? জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান সংসদ সদস্যরা।