এডভোকেট শফিকুল ইসলাম(মানিকগঞ্জ);-
চলছে রং-তুলীর কাজ। শিল্পীর তুলীর শেষ আচরে মাটির গড়া মূর্তিকে জীবন্ত সাঁজাতে চলছে প্রানপন চেষ্ঠা। এরপর পোষাক আর গহনা পড়ানো হলেই উলু ধ্বনি দিয়ে, সাখ আর ঢাক-ঢোল সানাই বাজিয়ে দেবী দূর্গা উঠবে বেদীতে।
সনাতন ধর্মের অন্যতম বৃহৎ এ উৎসব আমেজে পাড়ায়, মহল¬ায় হিন্দু পরিবারে সাজ-সাজ রব। বছর ঘুড়ে এ সময় শিশু- কিশোর বৃদ্ধরা মাতৃত্ব বন্দনার অপার মহিমা আনন্দে বিভিন্ন রংয়ে সাঁজে। সেই মহেন্দ্র ক্ষনের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে দেবী দূর্গা ভক্তরা। পূজারী ব্রাম্মন বাবু সুকুমার গোস্বামী ডেইলি বার্তা বাজার কে জানান, অশুভ শক্তি বিনাশ করতে দশ হাতে দশ চক্র নিয়ে সুদুর কৈলাশ থেকে শরৎকালে ভক্তকূলে দেবীদূর্গার আগমণ ঘটে। এবার দেবী দূর্গা দোলায় আগমন করে, ঘোটকে গমণ করবেন। পঞ্জিকা মতে ২৪ আশ্বিন ৯ অক্টোবর বুধবার সায়ংকালে দেবী বোধন।
ওই দিনই দেবী আমন্ত্রন ও অধিবাস হবে এবং ২৮আশ্বিন ১৩ অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মৃৎ শিল্পিদের চোখে ঘুম নেই। বাশ আর খড়ের কাঠামোতেমাটির আস্তরন শুকিয়ে রং-তুলীর আচরে ফুঠিয়ে তুলেন দুর্গা মূর্তী। রং তুলির শেষ আচড় দিয়ে দেবী মুর্তীকে পরিপূর্ন রূপ দিচ্ছেন মৃৎ শিল্পীরা। দূর্গা দেবী ত্রিশুল দিয়ে অশুরকে বধ করা দৃশ্য প্রতিটি পুজা মন্টপে। দেবী দুর্গার সাথে বিদ্যার দেবী স্বরসতী, ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং সাথে দেবতা কার্তিক, গনেশসহ নানা প্রতিমার রূপকে শিল্পিরা নিপুন হাতের ছোঁয়ায় ফুঁটিয়ে তুলছেন । প্রতিমা তৈরীতে শিল্পীদের মধ্যে রয়েছে অ-ঘোষিত প্রতিযোগিতা। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে প্রবেশ পথে নির্মান হচ্ছে বর্নিল আলোকসজ্জা সহ ব্যয়বহুল তোরন। দুষ্ট অসুর শক্তিমান ভেবে অহংকারে অস্থির হয়ে উঠে। অমরত্ব পান করতে স্বর্গের সকল দেবতাদের অতিষ্ট করে তুলে অত্যচারী মহিষাসুর।
সেই অশুভ শক্তি অসুর বিনাস করতে মহা-শক্তিমান দুর্গাদেবীর আবির্ভাব ঘটে। দেবী দূর্গার দশ হাতে দশ চক্রে পরাজিত হয়ে অশুভ শক্তির পরাজয় ঘটে। দুর্গা পূজায় মূতীর লীলা ভঙ্গিতে রয়েছে তারই দৃষ্টান্ত। ঘুম নেই চোখে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থেকে সাটুরিয়ায় মন্ডল পাড়ায় মূর্তি গড়তে আসা মৃত শিল্পী সুবল পাল ও তার পুত্র নিমাই পালের। তারা ডেইলি বার্তা বাজার কে বলেন, ৬ জন সহযোগি কাড়িগড় নিয়ে ১১টি প্রতিমা তৈরী কাজ চলমান। সময় মতো শেষ করতে রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে। দূর্গাদেবীর লীলা ভঙ্গীতে এবার নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছি। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার প্রতিমা শুকাতে দেরি হয়েছে। উপজেলা পূজা কমিটির সভাপতি এ্যাপোলো ঘোষ এবং সম্পাদক প্রদীপ বাকালী ডেইলি বার্তা বাজার কে বলেন, উপজেলায় প্রায় ৭৩ টি মন্টবে দূর্গা পূজার ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ধর্ম যারযার হলেও উৎসব সবার শ্লে¬াগানে সাটুরিয়ায় হিন্দু-মুসলিম সবাই আনন্দ উপভোগ করবেন। উপজেলা বিএনপি সভাপতি আ.কুদ্দস খান মাখন ও সাধারন সম্পাদক আবুল বাশার সরকার ডেইলি বার্তা বাজার কে বলেন, জেলা বিএনপি সভাপতি আফরোজা খান রিতার নির্দেশ মতো বিভিন্ন পূজা মন্টবে নিরাপত্তা ও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে বিএনপির সকল নেতা কর্মীদের সহযোগিতা এবং কার্যকর ভ’মিকা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রস্তুতি সম্পন্যর কথা জানিয়ে সাটুরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো ডেইলি বার্তা বাজার কে বলেন, প্রতিটি মন্টব পরিদর্শন করে আইন শৃংঙ্খলা সুন্দর ও স্বাভাবিক রাখতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা সম্পন্য করা হয়েছে। বিশৃংখলা এরাতে মনিটরিং টিম ও মোবাইল টিম নজরদারির সার্বক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
চলছে রং-তুলীর কাজ। শিল্পীর তুলীর শেষ আচরে মাটির গড়া মূর্তিকে জীবন্ত সাঁজাতে চলছে প্রানপন চেষ্ঠা। এরপর পোষাক আর গহনা পড়ানো হলেই উলু ধ্বনি দিয়ে, সাখ আর ঢাক-ঢোল সানাই বাজিয়ে দেবী দূর্গা উঠবে বেদীতে।
সনাতন ধর্মের অন্যতম বৃহৎ এ উৎসব আমেজে পাড়ায়, মহল¬ায় হিন্দু পরিবারে সাজ-সাজ রব। বছর ঘুড়ে এ সময় শিশু- কিশোর বৃদ্ধরা মাতৃত্ব বন্দনার অপার মহিমা আনন্দে বিভিন্ন রংয়ে সাঁজে। সেই মহেন্দ্র ক্ষনের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে দেবী দূর্গা ভক্তরা। পূজারী ব্রাম্মন বাবু সুকুমার গোস্বামী ডেইলি বার্তা বাজার কে জানান, অশুভ শক্তি বিনাশ করতে দশ হাতে দশ চক্র নিয়ে সুদুর কৈলাশ থেকে শরৎকালে ভক্তকূলে দেবীদূর্গার আগমণ ঘটে। এবার দেবী দূর্গা দোলায় আগমন করে, ঘোটকে গমণ করবেন। পঞ্জিকা মতে ২৪ আশ্বিন ৯ অক্টোবর বুধবার সায়ংকালে দেবী বোধন।
ওই দিনই দেবী আমন্ত্রন ও অধিবাস হবে এবং ২৮আশ্বিন ১৩ অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মৃৎ শিল্পিদের চোখে ঘুম নেই। বাশ আর খড়ের কাঠামোতেমাটির আস্তরন শুকিয়ে রং-তুলীর আচরে ফুঠিয়ে তুলেন দুর্গা মূর্তী। রং তুলির শেষ আচড় দিয়ে দেবী মুর্তীকে পরিপূর্ন রূপ দিচ্ছেন মৃৎ শিল্পীরা। দূর্গা দেবী ত্রিশুল দিয়ে অশুরকে বধ করা দৃশ্য প্রতিটি পুজা মন্টপে। দেবী দুর্গার সাথে বিদ্যার দেবী স্বরসতী, ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং সাথে দেবতা কার্তিক, গনেশসহ নানা প্রতিমার রূপকে শিল্পিরা নিপুন হাতের ছোঁয়ায় ফুঁটিয়ে তুলছেন । প্রতিমা তৈরীতে শিল্পীদের মধ্যে রয়েছে অ-ঘোষিত প্রতিযোগিতা। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে প্রবেশ পথে নির্মান হচ্ছে বর্নিল আলোকসজ্জা সহ ব্যয়বহুল তোরন। দুষ্ট অসুর শক্তিমান ভেবে অহংকারে অস্থির হয়ে উঠে। অমরত্ব পান করতে স্বর্গের সকল দেবতাদের অতিষ্ট করে তুলে অত্যচারী মহিষাসুর।
সেই অশুভ শক্তি অসুর বিনাস করতে মহা-শক্তিমান দুর্গাদেবীর আবির্ভাব ঘটে। দেবী দূর্গার দশ হাতে দশ চক্রে পরাজিত হয়ে অশুভ শক্তির পরাজয় ঘটে। দুর্গা পূজায় মূতীর লীলা ভঙ্গিতে রয়েছে তারই দৃষ্টান্ত। ঘুম নেই চোখে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থেকে সাটুরিয়ায় মন্ডল পাড়ায় মূর্তি গড়তে আসা মৃত শিল্পী সুবল পাল ও তার পুত্র নিমাই পালের। তারা ডেইলি বার্তা বাজার কে বলেন, ৬ জন সহযোগি কাড়িগড় নিয়ে ১১টি প্রতিমা তৈরী কাজ চলমান। সময় মতো শেষ করতে রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে। দূর্গাদেবীর লীলা ভঙ্গীতে এবার নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছি। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার প্রতিমা শুকাতে দেরি হয়েছে। উপজেলা পূজা কমিটির সভাপতি এ্যাপোলো ঘোষ এবং সম্পাদক প্রদীপ বাকালী ডেইলি বার্তা বাজার কে বলেন, উপজেলায় প্রায় ৭৩ টি মন্টবে দূর্গা পূজার ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ধর্ম যারযার হলেও উৎসব সবার শ্লে¬াগানে সাটুরিয়ায় হিন্দু-মুসলিম সবাই আনন্দ উপভোগ করবেন। উপজেলা বিএনপি সভাপতি আ.কুদ্দস খান মাখন ও সাধারন সম্পাদক আবুল বাশার সরকার ডেইলি বার্তা বাজার কে বলেন, জেলা বিএনপি সভাপতি আফরোজা খান রিতার নির্দেশ মতো বিভিন্ন পূজা মন্টবে নিরাপত্তা ও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে বিএনপির সকল নেতা কর্মীদের সহযোগিতা এবং কার্যকর ভ’মিকা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রস্তুতি সম্পন্যর কথা জানিয়ে সাটুরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো ডেইলি বার্তা বাজার কে বলেন, প্রতিটি মন্টব পরিদর্শন করে আইন শৃংঙ্খলা সুন্দর ও স্বাভাবিক রাখতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা সম্পন্য করা হয়েছে। বিশৃংখলা এরাতে মনিটরিং টিম ও মোবাইল টিম নজরদারির সার্বক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।