নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বছরের মধ্যেই একাত্তরের যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করেন।
এবার, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে এ ট্রাইব্যুনালেই শুরু হলো শেখ হাসিনাসহ তার দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও তাঁর সরকারের অনুসারীদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম। একই আদালতে এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।
১৭ অক্টোবর সকাল ১০টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতিরা এই বিচারকাজ শুরু করেন। বিচার কাজ শুরুর পর, একই আদালতের রায়ে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসি হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর একটি পুরোনো ভিডিও এখন ভাইরাল। সেই ভিডিওতে ট্রাইব্যুনালকে সঠিক তদন্তের আহ্বান জানানো সাকা চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, ট্রাইব্যুনাল যেন স্থায়ী থাকে। কয়েকটি বিচার করেই যেন তাদের কাজ শেষ না হয়।
শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের তৈরি আইনেই দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য নেতাদের বিচারের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ইতিহাসে শুরু হলো নতুন অধ্যায়। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই ও আগস্টে সংগঠিত গণহত্যার এমন বিচার করা হবে, যেন বিশ্বের কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থান দমন করতে, গত ১৬ জুলাই থেকে যেভাবে নির্বিচার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও অন্যদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে, যেভাবে হাজার শিক্ষার্থীকে আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়েছে, শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে, তার পুরো দায় সদ্য পতিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর জনগণের যে আকাঙ্ক্ষাটি সবচেয়ে জোরালোভাবে প্রকাশিত হয়েছে, তা হচ্ছে গত ১৫ বছরে এই সরকার আমলে খুন ও গুমসহ এ ধরনের যত অপরাধ হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার। এ ধরনের ঘটনাগুলোর মধ্যে গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের শহীদ হওয়াদের হত্যার বিচার এবং গত ১৫ বছরের গুম ও খুনের ঘটনাগুলোর বিচার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।
৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের কিছুদিন পরই ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান অবসরে যান। এক সদস্যকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। অন্য সদস্য অব্যাহতি নেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া প্রসিকিউটররা পদত্যাগ করেন। পরে ৫ সেপ্টেম্বর চিফ প্রসিকিউটরসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহতদের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়। এখন পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে শেখ হাসিনা, তাঁর মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ১৪-দলীয় জোটের শরিক দলের নেতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্র ও যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।
প্রায় সব অভিযোগেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে গণহত্যার অভিযোগগুলোয়। এছাড়া এ সময়ে আহত হয়ে পরে বিভিন্ন তারিখে নিহতরাও এর আওতায় থাকবেন। ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।
অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, প্রধান আসামির নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অন্য আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেন। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।
আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরও একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে চলছে বিচারকাজ।
এবার, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে এ ট্রাইব্যুনালেই শুরু হলো শেখ হাসিনাসহ তার দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও তাঁর সরকারের অনুসারীদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম। একই আদালতে এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।
১৭ অক্টোবর সকাল ১০টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতিরা এই বিচারকাজ শুরু করেন। বিচার কাজ শুরুর পর, একই আদালতের রায়ে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসি হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর একটি পুরোনো ভিডিও এখন ভাইরাল। সেই ভিডিওতে ট্রাইব্যুনালকে সঠিক তদন্তের আহ্বান জানানো সাকা চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, ট্রাইব্যুনাল যেন স্থায়ী থাকে। কয়েকটি বিচার করেই যেন তাদের কাজ শেষ না হয়।
শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের তৈরি আইনেই দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য নেতাদের বিচারের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ইতিহাসে শুরু হলো নতুন অধ্যায়। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই ও আগস্টে সংগঠিত গণহত্যার এমন বিচার করা হবে, যেন বিশ্বের কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থান দমন করতে, গত ১৬ জুলাই থেকে যেভাবে নির্বিচার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও অন্যদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে, যেভাবে হাজার শিক্ষার্থীকে আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়েছে, শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে, তার পুরো দায় সদ্য পতিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর জনগণের যে আকাঙ্ক্ষাটি সবচেয়ে জোরালোভাবে প্রকাশিত হয়েছে, তা হচ্ছে গত ১৫ বছরে এই সরকার আমলে খুন ও গুমসহ এ ধরনের যত অপরাধ হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার। এ ধরনের ঘটনাগুলোর মধ্যে গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের শহীদ হওয়াদের হত্যার বিচার এবং গত ১৫ বছরের গুম ও খুনের ঘটনাগুলোর বিচার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।
৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের কিছুদিন পরই ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান অবসরে যান। এক সদস্যকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। অন্য সদস্য অব্যাহতি নেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া প্রসিকিউটররা পদত্যাগ করেন। পরে ৫ সেপ্টেম্বর চিফ প্রসিকিউটরসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহতদের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়। এখন পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে শেখ হাসিনা, তাঁর মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ১৪-দলীয় জোটের শরিক দলের নেতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্র ও যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।
প্রায় সব অভিযোগেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে গণহত্যার অভিযোগগুলোয়। এছাড়া এ সময়ে আহত হয়ে পরে বিভিন্ন তারিখে নিহতরাও এর আওতায় থাকবেন। ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।
অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, প্রধান আসামির নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অন্য আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেন। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।
আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরও একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে চলছে বিচারকাজ।