সর্বশেষ বিপিএলে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেছিলেন কেশভ মহারাজ। একই ফ্র্যাচ্ঞাইজির হয়ে খেলার সুবাদে দুজনের মধ্যে গড়ে উঠেছে ভালো সম্পর্ক। আর সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ঢাকা টেস্টে মাঠে নামার আগে তামিমের পরামর্শ নিয়েছেন প্রোটিয়া এই স্পিনার।
মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে লম্বা সময় ক্রিকেট খেলেছেন তামিম। এখানকার পিচ এবং আউটফিল্ডের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ভালোই ধারণা রয়েছে তার। নিজের সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বরিশালের সতীর্থ মহারাজকে পরামর্শ দিয়েছেন তামিম। আর সেই পরামর্শ যে বেশ কাজে লেগেছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে তার পারফরম্যান্সে। দুই ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৭ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মহারাজ। তামিমের থেকে পাওয়া পরামর্শের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তামিম ভাইকে একটা মেসেজ করেছিলাম। আমার সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক, বিপিএলেও একই দলে খেলেছি। আমি তার কাছ থেকে কিছু পরামর্শ চেয়েছি কন্ডিশন ও এখানকার অবস্থা নিয়ে। তিনি আমাকে কিছু ধারণা দিয়েছেন উইকেট কেমন হতে পারে; ওগুলো ভুল ছিল না। উইকেট তিনি একশ ভাগ ঠিক পড়েছেন।’
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ঢের এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং জাকের আলী অনিক মিলে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে প্রাণ ফিরিয়েছেন এই টেস্টে। মিরাজ-জাকেরের সেই জুটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মহারাজ বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে ভালো করেছে। কন্ডিশন একটু ভালো হয়েছে, বল পুরোনো হওয়ার পর। কিন্তু আমার মনে হয় এখনও আমরা এগিয়ে আছি। বাংলাদেশ এখন লিডে আছে। আমরাও তিন উইকেট দূরে আছি।’
মিরপুরের উইকেটে বাংলাদেশ সবসময়ই কিছুটা সুবিধা পায়। তবুও এই টেস্ট জয়ের বিষয়ে অনেকটা আত্মবিশ্বাসী মহারাজ, ‘আমাদের যতটা কম রানে সম্ভব তাদেরকে আটকে দিতে হবে। কিন্তু আমি এখনও মনে করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াবো। আমরা প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে যা করেছি, সেটা মাথায় রেখে বলছি।’
কত রানের মধ্যে বাংলাদেশকে আটকাতে চান, এমন প্রশ্নের উত্তরে মহারাজ বলেন, 'অবশ্যই আমরা চাইব বাংলাদেশকে ১০০ বা তার কমে আটকাতে চাইব। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সকালে ভালো শুরু পাওয়া এবং সেখান থেকে এগিয়ে যাওয়া। অনেক বল করতে হয়েছে আজকে। শুরুর স্পেলে কিছুটা কম কাট বল করেছি যা উচিত হয়নি আমার। পরে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি। আগেই যা বললাম, শেষ দিকে বল কিছুটা পুরনো হয়ে গিয়েছে। উইকেট থেকে অত বেশি সাহায্য পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে চেষ্টা করে গেছি যতটা সম্ভব টাইট বোলিং করে যাওয়া যায়।’