১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় আজকের এই দিনে হানাদার পাকিস্তানী খানসেনাদের পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে একজন ক্যাপ্টেনসহ শহীদন হন পাঁচ ভারতীয় সেনা সদস্য।
দেশ স্বাধীনের পর এইসব বীর শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হলেও ক্রমান্বয়ে তা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছতে বসেছে সেই সব আত্মত্যাগকারি ভারতীয় সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগের বীরত্বের কথা। দীর্ঘদিন থেকে অরক্ষিত অবস্থায় স্মৃতিস্তম্ভটি ঝোপঝাড়ের মধ্যে পরে থাকলেও সেই স্মৃতিস্তম্ভটিকে নিজ দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটির কাছে সাইন বোর্ড টানিয়ে দিয়েছে স্বানীয় একদল মানবিক তরুণ-তরুণির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা আমরা করব জয়, সমাজ কল্যাণ সংস্থা।
আমরা কবর জয়, সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক প্লাবন শুভ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত ও অবহেলায় ভারতীয় মিত্রবাহিনীর স্মৃতিস্তম্ভটি পড়ে থাকায় সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সংস্কারসহ সাইন বোর্ড টানানো হয়েছে। যাতে সবাই স্মৃতিস্তম্ভটি সম্পর্কে জানতে পারেন।
প্রবীণ শিক্ষক শিব নারায়ণ গুপ্ত বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী খানসেনাদেরকে ফুলবাড়ী থেকে বিতাড়িত করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী ৪ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীকে পাক হানাদার মুক্ত করেন। হানাদার মুক্ত ফুলবাড়ীকে শত্রুমুক্ত রাখতে আজকের এইদিনে (১০ ডিসেম্বর) টহল দেয়ার সময় ফুলবাড়ী-দিনাজপুর সড়কের লোহার বড় ব্রিজের পশ্চিম তীরে খানসেনাদের পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জীব গাড়িটি উড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন ক্যাপ্টেনসহ পাঁচ জন ভারতীয় সেনা সদস্য শহীদ হন।
পরে তাদেরকে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের পূর্ব পার্শ্বে ছোট যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে শেষকৃত্য স¤পন্নসহ সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। প্রথম দিকে ভারতীয় শহীদ সেনাবাহিনীর সদস্যদের স্মৃতিস্তম্ভটিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হলেও এখন আর কেউই শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় না।
ফলে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্মৃতি স্তম্ভটি। তবে শুনলাম আমরা করব জয় সংগঠনের তরুণ-তরুণীরা স্মৃতিস্তম্ভটি সংস্কারসহ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করার উদ্যোগ নিয়েছে শুনে ভালো লেগেছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের এবং মুক্তিযুদ্ধের আত্মদানকারীদের কথা নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য যথাযথা উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. এছার উদ্দিন বলেন, ৭১ এর ১০ ডিসেম্বর মাইন বিষ্ফোরণে শহীদ হওয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনের নাম আমার ডায়েরিতে এখনো লেখা আছে। তার নাম ছিল অশোক কুমার ক্ষের। অন্যদের সংগ্রহ করা যায়নি। সরকারিভাবে এটি সংরক্ষণসহ এখানে তাদের আত্মত্যাগের কথা স্মৃতিফলকে লেখার দাবি জানান। যাতে করে তাদের আত্মত্যাগের কথা নতুন প্রজন্ম জানতে পারে আমাদের দেশকে শত্রুমুক্ত করতে তারা এ দেশে জীবন দিয়ে গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. কামাহ আল তমাল বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবেক গণশিক্ষা মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি বলেন, ভারতীয় মিত্রবাহিনীর স্মৃতিস্তম্ভটি সংস্কারসহ সংরক্ষণের জন্য আগামীতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
দেশ স্বাধীনের পর এইসব বীর শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হলেও ক্রমান্বয়ে তা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছতে বসেছে সেই সব আত্মত্যাগকারি ভারতীয় সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগের বীরত্বের কথা। দীর্ঘদিন থেকে অরক্ষিত অবস্থায় স্মৃতিস্তম্ভটি ঝোপঝাড়ের মধ্যে পরে থাকলেও সেই স্মৃতিস্তম্ভটিকে নিজ দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটির কাছে সাইন বোর্ড টানিয়ে দিয়েছে স্বানীয় একদল মানবিক তরুণ-তরুণির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা আমরা করব জয়, সমাজ কল্যাণ সংস্থা।
আমরা কবর জয়, সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক প্লাবন শুভ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত ও অবহেলায় ভারতীয় মিত্রবাহিনীর স্মৃতিস্তম্ভটি পড়ে থাকায় সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সংস্কারসহ সাইন বোর্ড টানানো হয়েছে। যাতে সবাই স্মৃতিস্তম্ভটি সম্পর্কে জানতে পারেন।
প্রবীণ শিক্ষক শিব নারায়ণ গুপ্ত বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী খানসেনাদেরকে ফুলবাড়ী থেকে বিতাড়িত করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী ৪ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীকে পাক হানাদার মুক্ত করেন। হানাদার মুক্ত ফুলবাড়ীকে শত্রুমুক্ত রাখতে আজকের এইদিনে (১০ ডিসেম্বর) টহল দেয়ার সময় ফুলবাড়ী-দিনাজপুর সড়কের লোহার বড় ব্রিজের পশ্চিম তীরে খানসেনাদের পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জীব গাড়িটি উড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন ক্যাপ্টেনসহ পাঁচ জন ভারতীয় সেনা সদস্য শহীদ হন।
পরে তাদেরকে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের পূর্ব পার্শ্বে ছোট যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে শেষকৃত্য স¤পন্নসহ সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। প্রথম দিকে ভারতীয় শহীদ সেনাবাহিনীর সদস্যদের স্মৃতিস্তম্ভটিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হলেও এখন আর কেউই শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় না।
ফলে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্মৃতি স্তম্ভটি। তবে শুনলাম আমরা করব জয় সংগঠনের তরুণ-তরুণীরা স্মৃতিস্তম্ভটি সংস্কারসহ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করার উদ্যোগ নিয়েছে শুনে ভালো লেগেছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের এবং মুক্তিযুদ্ধের আত্মদানকারীদের কথা নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য যথাযথা উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. এছার উদ্দিন বলেন, ৭১ এর ১০ ডিসেম্বর মাইন বিষ্ফোরণে শহীদ হওয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনের নাম আমার ডায়েরিতে এখনো লেখা আছে। তার নাম ছিল অশোক কুমার ক্ষের। অন্যদের সংগ্রহ করা যায়নি। সরকারিভাবে এটি সংরক্ষণসহ এখানে তাদের আত্মত্যাগের কথা স্মৃতিফলকে লেখার দাবি জানান। যাতে করে তাদের আত্মত্যাগের কথা নতুন প্রজন্ম জানতে পারে আমাদের দেশকে শত্রুমুক্ত করতে তারা এ দেশে জীবন দিয়ে গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. কামাহ আল তমাল বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবেক গণশিক্ষা মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি বলেন, ভারতীয় মিত্রবাহিনীর স্মৃতিস্তম্ভটি সংস্কারসহ সংরক্ষণের জন্য আগামীতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।