গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
রেললাইন কেটে নাশকতা সৃষ্টির ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) এক কাউন্সিলরসহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) জিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জিএমপি কমিশনার মাহবুব আলম।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, গাজীপুর জেলা শহরের রাজাবাড়ী (উত্তরপাড়া) এলাকার মৃত বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া (৫০), ভানোয়া এলাকার তারিকুল ইসলাম দিপুর ছেলে জুলকার নাইন আশরাফি হৃদয় (৩৫), উত্তর ছায়াবিথী এলাকার মৃত সোলায়মান মোড়লের ছেলে শাহানুর আলম (৫৩), কানাইয়া পূর্বপাড়া এলাকার মৃত ওমেদ আলী মোল্লার ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩২), মধ্য ছায়াবিথী এলাকার আফতাফ উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (৩৮); নেত্রকোনার মদন উপজেলার বারই বাজার গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জান্নাতুল ইসলাম (২৩), ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বান্দীয়া গ্রামের তাইজুদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫)।
জিএমপি কমিশনার মাহবুব আলম জানান, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের শ্রীপুর উপজেলার প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়া (চিলাই রেল ব্রিজ) এলাকায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়।এ ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে গোপন সংবাদে প্রথমে দুষ্কৃতকারী দলের সদস্য জান্নাতুল ইসলাম (২৩) ও মেহেদী হাসানকে (২৫) আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম এবং আজিম উদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ত্বোহার নেতৃত্বে আট জন সরাসরি জড়িত।
ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া। নাশকতার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নকারী প্রত্যেকেই বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতা এবং সক্রিয় সদস্য। জিএমপি কমিশনার আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানায়, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর ঢাকা যাওয়ার কথা বলে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে একটি হায়েস গাড়ি ভাড়া করে। তারা ঢাকা যাওয়ার কথা থাকলেও ঢাকায় না গিয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে থাকে। তারা প্রত্যেকেই মুখোশ পরা অবস্থায় ছিল।
এ সময় চালক তাদের ঢাকায় না যাওয়া এবং মুখোশ পরার কারণ জিজেস করলে তাদের মধ্যে থেকে একজন মুখোশ খুলে চালককে তার চেহারা দেখায় এবং বলে, “দেখো আমাকে তুমি চেনো কিনা?” চালক তাকে চিনতে পেরে আর কিছু বলে না। চালক ভয় পেলে তারা গাড়ি নিয়ে রেললাইন কেটে নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশ্যে বের হয়। পথে তারা শিববাড়ী, জোড় পুকুরপাড়সহ বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকজনকে গাড়িতে ওঠায়। পরে জোর পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা ইবনে সিনহা তোহার বাড়ি থেকে রেললাইন কাটার যন্ত্রপাতি এবং দক্ষিণ সালনার “বাঁশ বাগান” নামে রেস্টুরেন্ট থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার গাড়িতে ওঠায়। ওইসব সরঞ্জমাদিসহ শিববাড়ী মোড় থেকে তারা দুই ব্যক্তিকে গাড়িতে ওঠায়। পরে গাজীপুর শহরে ঘোরাফেরা করে।
রাত সোয়া ১০টার দিকে শিমুলতলীতে একটি হোটেলে খাবার শেষে ১১টায় থেকে বের হয়ে আবার শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে ঘোরাফেরা করে। রাত ৩টায় ঘটনাস্থল থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে বনের পাশে গাড়ি রেখে তারা গ্যাস সিলিন্ডারসহ অন্য সরঞ্জমাদি নিয়ে পায়ে হেঁটে বনখড়িয়া এলাকায় যায়। পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ভোর ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে তারা ২০ ফুট রেললাইন কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। সেখান থেকে তারা এসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশে চার জন এবং বাকী সদস্যরা ঢাকার মিরপুরে নামে। মিরপুরে নেমে তাদের কাছে টাকা না থাকায় একজনকে ফোনে বলে চালকের মোবাইল নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দিতে।
এক ব্যক্তি চালকের নম্বরে ৮ হাজার একশ টাকা পাঠিয়ে দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা আরও জানায়, ১১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক বিএনপি নেতা হাসান আজমল ভূঁইয়ার বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে তার সভাপতিত্বে মিটিং হয়। ওইসব মিটিংয়ে রেললাইন কেটে নাশকতা ঘটানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা হয়। মিটিংয়ে দলের উচ্চ পর্যায় থেকে বড় কিছু করার চাপ আছে। বড় কোনও ঘটনা ঘটলে দেশ ও বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হবে, এজন্য তারা রেললাইনে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করে। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান জিএমপি কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামসহ জিএমপি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে শ্রীপুর উপজেলার প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়া (চিলাই রেল ব্রিজ) এলাকায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের রৌহা গ্রামের মোছলেম উদ্দিনের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী আসলাম (৩৫) নিহত এবং ১০ জন আহত হন।
রেললাইন কেটে নাশকতা সৃষ্টির ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) এক কাউন্সিলরসহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) জিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জিএমপি কমিশনার মাহবুব আলম।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, গাজীপুর জেলা শহরের রাজাবাড়ী (উত্তরপাড়া) এলাকার মৃত বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া (৫০), ভানোয়া এলাকার তারিকুল ইসলাম দিপুর ছেলে জুলকার নাইন আশরাফি হৃদয় (৩৫), উত্তর ছায়াবিথী এলাকার মৃত সোলায়মান মোড়লের ছেলে শাহানুর আলম (৫৩), কানাইয়া পূর্বপাড়া এলাকার মৃত ওমেদ আলী মোল্লার ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩২), মধ্য ছায়াবিথী এলাকার আফতাফ উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (৩৮); নেত্রকোনার মদন উপজেলার বারই বাজার গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জান্নাতুল ইসলাম (২৩), ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বান্দীয়া গ্রামের তাইজুদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫)।
জিএমপি কমিশনার মাহবুব আলম জানান, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের শ্রীপুর উপজেলার প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়া (চিলাই রেল ব্রিজ) এলাকায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়।এ ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে গোপন সংবাদে প্রথমে দুষ্কৃতকারী দলের সদস্য জান্নাতুল ইসলাম (২৩) ও মেহেদী হাসানকে (২৫) আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম এবং আজিম উদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ত্বোহার নেতৃত্বে আট জন সরাসরি জড়িত।
ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া। নাশকতার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নকারী প্রত্যেকেই বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতা এবং সক্রিয় সদস্য। জিএমপি কমিশনার আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানায়, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর ঢাকা যাওয়ার কথা বলে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে একটি হায়েস গাড়ি ভাড়া করে। তারা ঢাকা যাওয়ার কথা থাকলেও ঢাকায় না গিয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে থাকে। তারা প্রত্যেকেই মুখোশ পরা অবস্থায় ছিল।
এ সময় চালক তাদের ঢাকায় না যাওয়া এবং মুখোশ পরার কারণ জিজেস করলে তাদের মধ্যে থেকে একজন মুখোশ খুলে চালককে তার চেহারা দেখায় এবং বলে, “দেখো আমাকে তুমি চেনো কিনা?” চালক তাকে চিনতে পেরে আর কিছু বলে না। চালক ভয় পেলে তারা গাড়ি নিয়ে রেললাইন কেটে নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশ্যে বের হয়। পথে তারা শিববাড়ী, জোড় পুকুরপাড়সহ বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকজনকে গাড়িতে ওঠায়। পরে জোর পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা ইবনে সিনহা তোহার বাড়ি থেকে রেললাইন কাটার যন্ত্রপাতি এবং দক্ষিণ সালনার “বাঁশ বাগান” নামে রেস্টুরেন্ট থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার গাড়িতে ওঠায়। ওইসব সরঞ্জমাদিসহ শিববাড়ী মোড় থেকে তারা দুই ব্যক্তিকে গাড়িতে ওঠায়। পরে গাজীপুর শহরে ঘোরাফেরা করে।
রাত সোয়া ১০টার দিকে শিমুলতলীতে একটি হোটেলে খাবার শেষে ১১টায় থেকে বের হয়ে আবার শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে ঘোরাফেরা করে। রাত ৩টায় ঘটনাস্থল থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে বনের পাশে গাড়ি রেখে তারা গ্যাস সিলিন্ডারসহ অন্য সরঞ্জমাদি নিয়ে পায়ে হেঁটে বনখড়িয়া এলাকায় যায়। পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ভোর ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে তারা ২০ ফুট রেললাইন কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। সেখান থেকে তারা এসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশে চার জন এবং বাকী সদস্যরা ঢাকার মিরপুরে নামে। মিরপুরে নেমে তাদের কাছে টাকা না থাকায় একজনকে ফোনে বলে চালকের মোবাইল নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দিতে।
এক ব্যক্তি চালকের নম্বরে ৮ হাজার একশ টাকা পাঠিয়ে দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা আরও জানায়, ১১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক বিএনপি নেতা হাসান আজমল ভূঁইয়ার বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে তার সভাপতিত্বে মিটিং হয়। ওইসব মিটিংয়ে রেললাইন কেটে নাশকতা ঘটানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা হয়। মিটিংয়ে দলের উচ্চ পর্যায় থেকে বড় কিছু করার চাপ আছে। বড় কোনও ঘটনা ঘটলে দেশ ও বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হবে, এজন্য তারা রেললাইনে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করে। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান জিএমপি কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামসহ জিএমপি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে শ্রীপুর উপজেলার প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়া (চিলাই রেল ব্রিজ) এলাকায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের রৌহা গ্রামের মোছলেম উদ্দিনের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী আসলাম (৩৫) নিহত এবং ১০ জন আহত হন।