রাশিয়া রোববার ইউক্রেনের উপর বিশাল পরিসরে ভয়াবহ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে, যাকে যুদ্ধ শুরু হবার পর সবচয়ে ভয়ঙ্কর আকারের হামলা হিসাবে বর্ণনা করেছেন কিয়েভের কর্মকর্তারা। এসব হামলায় ইউক্রেনের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে রাশিয়া।
ঠান্ডা শীতের আগে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ধ্বংস করার জন্য মস্কোর অভিপ্রায় সম্পর্কে আশঙ্কা তৈরি হওয়ার সময় এই আক্রমণটি চালানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনজুড়ে বড় আকারের হামলায় ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৯০টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। তিনি বলেন, ইরানের তৈরি শাহেদের পাশাপাশি ক্রুজ, ব্যালিস্টিক এবং বিমানে চালানো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী ১৪০টি ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করেছে।তিনি বলেন, শত্রুর লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো। দুর্ভাগ্যবশত, কিছু ক্ষেপনাস্ত্র ও পতনশীল ধ্বংসাবশেষ থেকে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাইকোলাইভে একটি ড্রোন হামলার ফলে দুই জন নিহত এবং দুই শিশুসহ ছয়জন আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
স্থানীয় গভর্নর ওলেহ কিপার বলেন, ওডেসা অঞ্চলে আরও দুইজন নিহত হয়েছে, যেখানে হামলার ফলে জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
কিয়েভের সিটি মিলিটারি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান সের্হি পপকোর মতে, সম্মিলিত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলো।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর সর্বাত্মক আক্রমণের পর থেকে দেশটির বিদ্যুৎ পরিকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ বন্ধের পাশাপাশি দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউট হয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে পশ্চিমা মিত্রদের আক্রমণ প্রতিহত বিমান প্রতিরক্ষা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ইউক্রেন জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, রাজধানী কিয়েভ, ওডেসার প্রধান দক্ষিণ বন্দর, সেই সাথে দেশটির পশ্চিম ও মধ্য অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা হয়।
পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, ইউক্রেনের উপর বিশাল রুশ আক্রমণের কারণে পোলিশ এবং মিত্ররা বিমান, ফাইটার জেটসহ পোলিশ আকাশসীমায় সর্তক অবস্থান নেয়। তবে, এসব পদক্ষেপ সীমান্ত এলকার নিরপাত্তার কারণে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পোলিশ সশস্ত্র বাহিনী। পপকোর মতে, কিয়েভের ঐতিহাসিক কেন্দ্রে একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনের ছাদে আগুন লেগে একজন আহত হয়েছেন। এছাড়া, ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি।ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ বেসরকারি জ্বালানি কোম্পানি বলছে, হামলায় তাদের থার্মাল এনার্জি প্ল্যান্টসে বেশ বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। রাশিয়ার হামলায় তিনটি অঞ্চলে জরুরি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
ঠান্ডা শীতের আগে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ধ্বংস করার জন্য মস্কোর অভিপ্রায় সম্পর্কে আশঙ্কা তৈরি হওয়ার সময় এই আক্রমণটি চালানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনজুড়ে বড় আকারের হামলায় ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৯০টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। তিনি বলেন, ইরানের তৈরি শাহেদের পাশাপাশি ক্রুজ, ব্যালিস্টিক এবং বিমানে চালানো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী ১৪০টি ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করেছে।তিনি বলেন, শত্রুর লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো। দুর্ভাগ্যবশত, কিছু ক্ষেপনাস্ত্র ও পতনশীল ধ্বংসাবশেষ থেকে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাইকোলাইভে একটি ড্রোন হামলার ফলে দুই জন নিহত এবং দুই শিশুসহ ছয়জন আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
স্থানীয় গভর্নর ওলেহ কিপার বলেন, ওডেসা অঞ্চলে আরও দুইজন নিহত হয়েছে, যেখানে হামলার ফলে জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
কিয়েভের সিটি মিলিটারি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান সের্হি পপকোর মতে, সম্মিলিত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলো।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর সর্বাত্মক আক্রমণের পর থেকে দেশটির বিদ্যুৎ পরিকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ বন্ধের পাশাপাশি দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউট হয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে পশ্চিমা মিত্রদের আক্রমণ প্রতিহত বিমান প্রতিরক্ষা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ইউক্রেন জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, রাজধানী কিয়েভ, ওডেসার প্রধান দক্ষিণ বন্দর, সেই সাথে দেশটির পশ্চিম ও মধ্য অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা হয়।
পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, ইউক্রেনের উপর বিশাল রুশ আক্রমণের কারণে পোলিশ এবং মিত্ররা বিমান, ফাইটার জেটসহ পোলিশ আকাশসীমায় সর্তক অবস্থান নেয়। তবে, এসব পদক্ষেপ সীমান্ত এলকার নিরপাত্তার কারণে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পোলিশ সশস্ত্র বাহিনী। পপকোর মতে, কিয়েভের ঐতিহাসিক কেন্দ্রে একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনের ছাদে আগুন লেগে একজন আহত হয়েছেন। এছাড়া, ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি।ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ বেসরকারি জ্বালানি কোম্পানি বলছে, হামলায় তাদের থার্মাল এনার্জি প্ল্যান্টসে বেশ বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। রাশিয়ার হামলায় তিনটি অঞ্চলে জরুরি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।