আলুর বীজ যেন সোনার হরিণ, সারের দামও বাড়তি

আপলোড সময় : ২২-১১-২০২৪ ০৯:০৮:৪৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২২-১১-২০২৪ ০৯:০৮:৪৬ অপরাহ্ন
মুন্সীগঞ্জে আমদানি করা বীজ আলু যেন সোনার হরিণ। চলতি বছর প্রথমে ১১ হাজার টাকা দরে মিললেও এখন কিনতে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। সেইসঙ্গে সারের দামও চড়া। এতে ক্ষোভ ঝরেছে কৃষকের কণ্ঠে। তাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হয়েছে বীজ আলুর দাম।আলু উৎপাদনের অন্যতম শীর্ষ জেলা মুন্সীগঞ্জে শুরু হয়েছে আলু রোপণের মৌসুম। বিস্তীর্ণ জমিতে কৃষক ব্যস্ত বীজ আলু রোপনে। বর্ষার পানি সরে যাওয়ার পরই জমি প্রস্তুত করেও উন্নত বীজের জন্য চ্যালেঞ্জে পরতে হচ্ছে তাদের।

 
হল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত বীজের ৫০ কেজির প্রতি বাক্স আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ হাজার টাকার ওপরে। গত বছর একই পরিমাণ বীজ আলুর দাম ছিল মাত্র ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। এ বছর প্রথমে ১১ হাজার টাকা দরে বিক্রি শুরু করলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণের বেশি।
 
কৃষকরা বলছেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ আলুর ৪০ কেজির বস্তা সাড়ে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সেগুলোর চেয়ে আমদানি করা বীজের চাহিদা বেশি ও মান ভালো, কিন্তু সেগুলোর দাম বেশি। বীজ আলুর মতো সারও বিক্রি হচ্ছে সরকারি দরের চেয়ে বস্তা প্রতি ২০০ টাকা বেশি দরে।তবে ডিলাররা বলছেন, প্রতি বাক্স আলু ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আমদানিকৃত বীজ আলু ডিলার হাজী মো. শাহিন খান বলেন, কয়েক হাত বদলের মাধ্যমে আলু বীজের দাম কিছুটা বাড়ছে।
 
বেশি দরে বিক্রির বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয় বলছে কৃষি বিভাগ। মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, বস্তার গায়ে দাম লিখে দেয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। যাতে নির্ধারিত দামের বেশিতে কেউ বিক্রি করতে না পারে।
 
উল্লেখ্য, এবার জেলায় ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে আলু রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। চলতি মৌসুমে আকাশ পথে ৩০০ মেট্রিক টন এবং নৌপথে সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন বীজ আলু হল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়েছে। আর মুন্সীগঞ্জে বীজ আলুর চাহিদা রয়েছে ৭৯ হাজার ৬১০ মেট্রিক টন।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক: মোঃ আবু তাহের মোল্যা

প্রকাশক: মনির হোসেন সুমন

অফিস :

 ১০ দারুসসালাম ভবন, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।

ইমেইল : [email protected]

মোবাইল : ০১৯১৯১২৬৬১৯