
কিছুদিন আগেই ইসরাইল দাবি করেছিলো, ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির সক্ষমতাকে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। গেলো ২৬ অক্টোবর তেহরানে এক হামলায় ইরানের গোপন এক পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ধ্বংস করার দাবি করেছিল ইসরাইল। দেশটির কর্মকর্তাদের দাবি, হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বড় ধাক্কা খেয়েছে।
ইসরাইলের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ইরান বলেছিলো, তাদের পরমাণু কর্মসূচির কোনো ক্ষতি হয়নি। সব কিছু আগের মতোই আছে। এবার জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ)-এর প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে ইউরেনিয়ামের মজুত ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে ইরান। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ১৮২.৩ কিলোগ্রাম ইউরেনিয়াম জমা করে ফেলেছে ইরান। পরমাণু বোমা তৈরির পথে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ইরান। পরমাণু অস্ত্র নির্মাণে প্রয়োজন ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম। অর্থাৎ পারমাণবিক বোমা তৈরির শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ইরান।
আগস্ট মাসে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের পর আরও ১৭ দশমিক ছয় কেজি ইউরেনিয়াম জমা হয়েছে বলে জানা গেছে। আইএইএ প্রতিবেদনের দাবি করা হয়েছে, ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তিতে নির্ধারিত সীমার চেয়েও ৩২ গুণ বেশি বেড়েছে ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুত।পরমাণু শক্তিধর হয়ে উঠতে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে প্রস্তুতি চালাচ্ছিলো ইরান। যদিও ইরান বলে আসছিলো, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। পারমাণবিক বোমা তৈরিকে তারা সমর্থন করে না। তবে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন এবং ইরানের ওপর হামলায় পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন আনার হুঁশিয়ারি দেয় তেহরান।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে লাগাম টানতে ২০১৫ সালে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করেছিলো আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন, রাশিয়া এবং জার্মানি। তবে একাধিক দেশের সংঘাতের জেরে শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি সাফল্যের মুখ দেখেনি। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় আমেরিকা। এর পর থেকে গোপনে পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার বাড়িয়ে চলেছে ইরান। পশ্চিমা আহ্বানকে উপেক্ষা করে নতুন কোনো চুক্তির বিষয়েও আগ্রহ দেখায়নি ইরান। উল্টো জানিয়ে দেয়, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তিতে যাবে না তেহরান। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে অশনি সংকেত দেখতে পশ্চিমারা।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ইরান যদি কোনোভাবে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়, সেক্ষেত্রে শুধু মধ্যপ্রাচ্যই নয় বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। যার প্রভাব সরাসরি পড়বে ইসরাইলে। কারণ, এই দেশটি ইরানের সবচেয়ে বড় শত্রু। সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভয়াবহ হবার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।একদিকে ইরান যখন পরমাণু বোমা তৈরির পথে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে, তখন পরমাণু যুদ্ধের সিঁদুরে মেঘ দেখা দিয়েছে ইউরোপে-আমেরিকা। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলতে থাকা সংঘাত পরমাণু যুদ্ধের পথে এগোতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা করছে বিশ্বমনে।
ইসরাইলের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ইরান বলেছিলো, তাদের পরমাণু কর্মসূচির কোনো ক্ষতি হয়নি। সব কিছু আগের মতোই আছে। এবার জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ)-এর প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে ইউরেনিয়ামের মজুত ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে ইরান। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ১৮২.৩ কিলোগ্রাম ইউরেনিয়াম জমা করে ফেলেছে ইরান। পরমাণু বোমা তৈরির পথে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ইরান। পরমাণু অস্ত্র নির্মাণে প্রয়োজন ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম। অর্থাৎ পারমাণবিক বোমা তৈরির শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ইরান।
আগস্ট মাসে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের পর আরও ১৭ দশমিক ছয় কেজি ইউরেনিয়াম জমা হয়েছে বলে জানা গেছে। আইএইএ প্রতিবেদনের দাবি করা হয়েছে, ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তিতে নির্ধারিত সীমার চেয়েও ৩২ গুণ বেশি বেড়েছে ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুত।পরমাণু শক্তিধর হয়ে উঠতে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে প্রস্তুতি চালাচ্ছিলো ইরান। যদিও ইরান বলে আসছিলো, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। পারমাণবিক বোমা তৈরিকে তারা সমর্থন করে না। তবে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন এবং ইরানের ওপর হামলায় পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন আনার হুঁশিয়ারি দেয় তেহরান।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে লাগাম টানতে ২০১৫ সালে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করেছিলো আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন, রাশিয়া এবং জার্মানি। তবে একাধিক দেশের সংঘাতের জেরে শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি সাফল্যের মুখ দেখেনি। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় আমেরিকা। এর পর থেকে গোপনে পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার বাড়িয়ে চলেছে ইরান। পশ্চিমা আহ্বানকে উপেক্ষা করে নতুন কোনো চুক্তির বিষয়েও আগ্রহ দেখায়নি ইরান। উল্টো জানিয়ে দেয়, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তিতে যাবে না তেহরান। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে অশনি সংকেত দেখতে পশ্চিমারা।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ইরান যদি কোনোভাবে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়, সেক্ষেত্রে শুধু মধ্যপ্রাচ্যই নয় বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। যার প্রভাব সরাসরি পড়বে ইসরাইলে। কারণ, এই দেশটি ইরানের সবচেয়ে বড় শত্রু। সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভয়াবহ হবার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।একদিকে ইরান যখন পরমাণু বোমা তৈরির পথে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে, তখন পরমাণু যুদ্ধের সিঁদুরে মেঘ দেখা দিয়েছে ইউরোপে-আমেরিকা। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলতে থাকা সংঘাত পরমাণু যুদ্ধের পথে এগোতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা করছে বিশ্বমনে।