আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবন (ঈগল প্রতিক) প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ডিসি ও এসপিকে বদলির হুমকি দেওয়ার অভিযোগের শুনানির পরদিন আজ মঙ্গলবার যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পবনের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত এল। প্রতিক্রিয় পবন বলেন আমার উপর অন্যায় করা হয়েছে। ন্যায় বিচারের জন্য আমি হাইকোটে আফিল করব।
মঙ্গলবার ইসির আইন শাখার উপসচিব মো.আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। গতকাল সোমবার পবনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি করে কমিশন।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বদলির হুমকি দেওয়ায় হাবিবুর রহমান পবনকে রবিবার চিঠি পাঠিয়ে তলব করে ইসি।
সোমবার তাকে সশরীরে নির্বাচন ভবনে হাজির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালামের চিঠিতে বলা হয়, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবন ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে সময় জেলা প্রশাসক, লক্ষ্মীপুর ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে একটি নম্বর হতে Whats app এর মাধ্যমে ফোন করে অকথ্য, আপত্তিকর ও অশোভন বক্তব্য প্রদান করেন এবং রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে তিন দিনের মধ্যে বদলিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়েছেন।’
এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পবন আরপিও বিধান লঙ্ঘন করেছেন জানিয়ে তাকে ১ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় চিঠিতে।
আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্বাচনি অপরাধে জড়িত থেকে ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ করায় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি পবনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠায় গত রবিবার।.
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবন (ঈগল প্রতিক) অভিযোগ করে বলেন, সোনাপুর বাজারে বৃহস্পিতিবার গনসংযোগ করার সময় আনোয়ার খানের কর্মিরা তার নির্দেশে আমার উপর মিছিলসহকারে এসে হামলা চালায়,এতে আমি সহ আমার ২০ জন কর্মি আহত হয়। আমার গায়ের পাঞ্জাবী ও ছিঁড়ে পেলেছে , এটি উপস্থিত সাংবাদিকরা লাইভে দেখিয়েছে। এই ছেঁড়া পাঞ্জাবী নিয়ে আমি লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে নিজে গিয়ে আসামিদের নাম উল্লেখ্য করে অভিযোগ দায়ের করি এর পরদিন আমার চীপএজেন্ট লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সফিকুল ইসলামের ভাদুরের বাড়িতে গিয়ে নৌকার মিছিল নিয়ে ককটেল বিস্পরন করে ওনাকে নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি প্রদানকরে ,ওদিন আমাদের কর্মি নোয়াগাও ইউনিয়নের মেম্বার ইউসুফ হারুণ সহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহতকরে মোবাইল নিয়ে যায়,। এছাড়াও ভাটরা ইউনিয়ের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হেসেন, কাঞ্চনপুর ,দরবেশপুর ,গাজীপুরে আমার মহিলা কর্মি সহ ২০ জনকে আহত ও রক্তাক্ত করে। বার বার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটনিং কর্মকর্তা,পুলিশ সুপার ,ইউএন ও ওসি সাহেবকে যানিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। সেদিন ফোনে ওনাদের সাথে এই বিষয় গুলো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়ে। পবন বলেন একজন প্রার্থী প্রতিকার না পেয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া তার ভেতর থেকে আসতেই পারে।এটির জন্য নির্বাচনের কাছা কাছি সময়ে এসে প্রার্থীতা বাতিল, তদন্ত কমিটি এত দ্রুত তদন্ত রির্পোট প্রদান সব কিছু নিয়ে আমি উচ্চ আদালতে যাব। আমার বিশ্বাস সেখানে ন্যায় বিচার পাব এরং আমার প্রার্থীতা ফিরে পাবে।