এ্যাড.শফিকুল ইসলাম.মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবীব ধামরাইয়ে পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমনের আসামী হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হাবীবুর রহমান হাবীব নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে।
তার বিরুদ্ধে এক স্কুল ছাত্রীকে জোর পুর্বক ধর্ষনের অভিযোগে মানিকগঞ্জ আদালতে ৫(১১)১৯ ধর্ষন আইনে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। হাবীব ধামরাই উপজেলার পশ্চিম নান্দেশ্বরী এলাকার সোহরাব হোসেনের পুত্র। গত ২৭ নভেম্বর ধামরাই থানায় দায়ের হওয়া ৩৭নং মামলার ৭৩ নম্বর আসামী। একই মামলায় তার বাবা সোহরাব হোসেন ৬৭ নং আসামী। গ্রেফতারের ভয়ে তারা দুৃজনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে ধামরাই থানা পুলিশ জানায়।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ধামরাই থানার সহকারি পুলিশ পরিদর্শক এসএম কাওছার ফোর্সসহ ২৬ নভেম্বর অভিযানকালে বালিয়া ইউপি এলাকা থেকে নান্নু নামের আওয়ামী পন্থি নেতাকে গ্রেফতার করে কাওয়ালী পাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। নামীয় ৭৪জন ও অজ্ঞাত প্রায় দেরশ লোক পুলিশ ফারিতে হামলা করে আসামী ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পরদিন ধামরাই থানায় মামলা দায়ের হয়।
জানা গেছে, ধামরাই উপজেলার পশ্চিম নান্দেশ্বরী গ্রামের সোহরাবের পুত্র হাবীব বিবাহিত জীবনে এক কন্যার জনক। ধামরাইয়ে বসত বাড়ি সত্বেও নাগরিক পরিচয় গোপন করে সাটুরিয়ার কাওন্নারা গ্রামের ভূয়া ঠিকানায় তৈরী করে জাতীয় পরিচয় পত্র। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে বিবাহের কথা গোপন করে যোগ দেয় ছাত্রলীগে।
মন্ত্রী জাহিদ মালেকের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি আর অবৈধ জমি দখলের মহোৎসব চালায়। এই হাবীবের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ২০১৮ সালে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি মুন্নু কন্যা আফরোজা খান রিতার গাড়ি বহরে হামলা চালায়।
মামলা দায়েরে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, পুলিশকে জিম্মি করে কাওয়ালী পাড়া পুলিশ ফারি থেকে আটক ব্যাক্তিকে ছিনিয়ে নেয় কতিপয় আওয়ামী পন্থি নেতাকর্মীরা। এতে ৭৪জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ গ্রেফতার অভিযান অব্যহত আছে।