বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ব্যাংকিং খাত ধ্বংসে সব পক্ষের দায় আছে। এ অবস্থার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকির দুর্বলতার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটরিয়ামে ‘টিপিং পয়েন্টস অব রিফর্ম এজেন্ডা ফর দ্যা টার্নঅ্যারাউন্ড অব দ্যা ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।গভর্নর বলেন, দেশের বাইরে চলে গেছে রিজার্ভের ২৪ বিলিয়ন ডলার। যে কারণে ব্যাংকে আমানত বাড়ছে না। ব্যাংকে আমানত বৃদ্ধি না পাওয়ার মূল কারণ টাকা পাচার।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক খাত পিছিয়ে ছিল গত ১০-১২ বছর ধরেই। অর্থনীতির ৪ টি স্তম্ভ ব্যাংকিং, স্টক মার্কেট, ইন্স্যুরেন্স, বন্ড মার্কেট কোনোটাই আমাদের দেশে শক্তিশালী নয়। বন্ড মার্কেট আমরা গড়েই তুলতে পারিনি। ইন্স্যুরেন্স আর পুঁজিবাজারের অবস্থা করুণ। ফলে আমাদের দেশে বড় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে একমাত্র ব্যাংকিং খাতকেই। অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি উৎস বের করতে না পারলে আমাদের ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরশীলতা থাকবেই।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী জুনের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা। পরবর্তী অর্থবছরের মাঝে তা ৫ শতাংশে নামানো। মুদ্রাস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনা মূল লক্ষ্য। আশা করি তা সম্ভব।সেমিনারে ব্যাংকাররা বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের তদবিরে জর্জরিত ব্যাংকি খাত। তারা অভিযোগ করেন, ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলে ব্ল্যাকমেইল করা হয়।
গেল দেড় দশকে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে ঋণ বিতরণে। ব্যাংক নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চোখের সামনে আমানতকারীদের টাকা লুট হয়েছে। এই লুটপাটে বাধা না দিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্গী হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তকর্তারা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ গ্যারান্টি সংস্থার (মিগা) ড. জুনায়েদ কামাল আহমদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর কবির আহাম্মদ, মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান ও নূরুন নাহারসহ অন্যান্যরা।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটরিয়ামে ‘টিপিং পয়েন্টস অব রিফর্ম এজেন্ডা ফর দ্যা টার্নঅ্যারাউন্ড অব দ্যা ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।গভর্নর বলেন, দেশের বাইরে চলে গেছে রিজার্ভের ২৪ বিলিয়ন ডলার। যে কারণে ব্যাংকে আমানত বাড়ছে না। ব্যাংকে আমানত বৃদ্ধি না পাওয়ার মূল কারণ টাকা পাচার।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক খাত পিছিয়ে ছিল গত ১০-১২ বছর ধরেই। অর্থনীতির ৪ টি স্তম্ভ ব্যাংকিং, স্টক মার্কেট, ইন্স্যুরেন্স, বন্ড মার্কেট কোনোটাই আমাদের দেশে শক্তিশালী নয়। বন্ড মার্কেট আমরা গড়েই তুলতে পারিনি। ইন্স্যুরেন্স আর পুঁজিবাজারের অবস্থা করুণ। ফলে আমাদের দেশে বড় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে একমাত্র ব্যাংকিং খাতকেই। অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি উৎস বের করতে না পারলে আমাদের ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরশীলতা থাকবেই।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী জুনের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা। পরবর্তী অর্থবছরের মাঝে তা ৫ শতাংশে নামানো। মুদ্রাস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনা মূল লক্ষ্য। আশা করি তা সম্ভব।সেমিনারে ব্যাংকাররা বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের তদবিরে জর্জরিত ব্যাংকি খাত। তারা অভিযোগ করেন, ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলে ব্ল্যাকমেইল করা হয়।
গেল দেড় দশকে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে ঋণ বিতরণে। ব্যাংক নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চোখের সামনে আমানতকারীদের টাকা লুট হয়েছে। এই লুটপাটে বাধা না দিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্গী হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তকর্তারা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ গ্যারান্টি সংস্থার (মিগা) ড. জুনায়েদ কামাল আহমদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর কবির আহাম্মদ, মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান ও নূরুন নাহারসহ অন্যান্যরা।