রাজধানী দামেস্ক ও প্রাচীন শহর আলেপ্পোর পর, সিরিয়ার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হামার কেন্দ্রস্থল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী বাহিনী শহরে ঢুকে কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হবার কথা জানানোর কয়েক ঘণ্টা পরই এমন গোষণা এলো। খবর বিবিসি, রয়টার্স।
এর আগে সিরিয়ার কেন্দ্রীয় শহর হামার চারপাশে সরকারি বাহিনী ও ইসলামপন্থি নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলে। সরকারিসেনারা আগুয়ান বিদ্রোহীদের ঠেকাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হামা ছেড়ে চলে যায়। এরপরই হামার কেন্দ্রস্থ নিয়ন্ত্রণের দাবি জানায় বিদ্রোহী সেনারা।সিরিয়ার সরকারি বাহিনী জানিয়েছে, বিদ্রোহী যোদ্ধারা প্রতিরক্ষা ভেদ করার পর তারা মধ্যাঞ্চলীয় শহর হামা থেকে সরে গেছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, বিদ্রোহী যোদ্ধারা হামা শহরকে তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে। কেন্দ্রস্থলেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার রাতে বিদ্রোহী ও শাসক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে হামার ঠিক উত্তরে জাবাল জায়ন আল-আবিদিন এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সরকারি সেনারা বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকানোর চেষ্টায় তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুললেও, সেটি ধরে রাখতে পারেনি।বিদ্রোহী যোদ্ধাদের কমান্ডার হাসান আব্দুল গনি বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, তার বাহিনী হামা শহরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তারা মঙ্গলবার থেকে শহরটিকে অবরোধ করে রেখেছে এবং রাতে সিরীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই করেছে।
অন্যদিকে সিরিয়ার সেনাবাহিনী এই দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে, এই খবর সঠিক নয়। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম আগেই জানিয়েছে, সরকারপন্থী বাহিনী হামলা প্রতিহত করেছে। সরকারপন্থী বাহিনী রুশ বিমান হামলার তীব্র সমর্থনে তাদের দ্রুত অগ্রযাত্রা থামানোর চেষ্টা করছে।বিদ্রোহী যোদ্ধারা উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় তাদের ঘাঁটি থেকে দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে গত সপ্তাহে আলেপ্পো দখল করে এবং মঙ্গলবার হামার উত্তরের একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ে পৌঁছে শহরের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকে। বিদ্রোহী যোদ্ধারা হামা শহরকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে।
বিদ্রোহীরা জানিয়েছেন, তারা হামা শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় কারাগার দখলে নিয়েছেন, বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর একটির নেতা হাসান আবদেল ঘানি কারাগার ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি টেলিগ্রামে এক বার্তায় লিখেছেন, আমাদের সদস্যরা হামার কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেছেন এবং কয়েক শত বন্দীকে মুক্ত করেছেন।গত সপ্তাহে বিদ্রোহীরা আলেপ্পো দখল করেন। এর পর থেকে তাঁরা দক্ষিণ, তথা রাজধানী দামেস্কের দিকে আসতে শুরু করেন। গত মঙ্গলবার বিদ্রোহীরা হামা শহরের উত্তর দিকের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর হিলে পৌঁছান। বুধবার হামা শহরের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে তাঁরা অগ্রসর হতে থাকেন।২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। পুরা গৃহযুদ্ধে হামা শহর আসাদ সরকারের হাতে ছিল। কিন্তু এখন শহরটি পতন হওয়াটা দামেস্কের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ালো।
হামা শহরটি রাজধানী দামেস্ক ও উত্তরাঞ্চলের শহর আলেপ্পোর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। আলেপ্পো থেকে দামেস্কে আসার এক-তৃতীয়াংশ এলাকাজুড়ে হামা শহর বিস্তৃত। হামার পতনের পর বিদ্রোহীদের হোমস শহরের দিকে অগ্রসরের পথ খুলে গেছে।
এর আগে সিরিয়ার কেন্দ্রীয় শহর হামার চারপাশে সরকারি বাহিনী ও ইসলামপন্থি নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলে। সরকারিসেনারা আগুয়ান বিদ্রোহীদের ঠেকাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হামা ছেড়ে চলে যায়। এরপরই হামার কেন্দ্রস্থ নিয়ন্ত্রণের দাবি জানায় বিদ্রোহী সেনারা।সিরিয়ার সরকারি বাহিনী জানিয়েছে, বিদ্রোহী যোদ্ধারা প্রতিরক্ষা ভেদ করার পর তারা মধ্যাঞ্চলীয় শহর হামা থেকে সরে গেছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, বিদ্রোহী যোদ্ধারা হামা শহরকে তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে। কেন্দ্রস্থলেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার রাতে বিদ্রোহী ও শাসক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে হামার ঠিক উত্তরে জাবাল জায়ন আল-আবিদিন এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সরকারি সেনারা বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকানোর চেষ্টায় তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুললেও, সেটি ধরে রাখতে পারেনি।বিদ্রোহী যোদ্ধাদের কমান্ডার হাসান আব্দুল গনি বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, তার বাহিনী হামা শহরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তারা মঙ্গলবার থেকে শহরটিকে অবরোধ করে রেখেছে এবং রাতে সিরীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই করেছে।
অন্যদিকে সিরিয়ার সেনাবাহিনী এই দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে, এই খবর সঠিক নয়। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম আগেই জানিয়েছে, সরকারপন্থী বাহিনী হামলা প্রতিহত করেছে। সরকারপন্থী বাহিনী রুশ বিমান হামলার তীব্র সমর্থনে তাদের দ্রুত অগ্রযাত্রা থামানোর চেষ্টা করছে।বিদ্রোহী যোদ্ধারা উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় তাদের ঘাঁটি থেকে দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে গত সপ্তাহে আলেপ্পো দখল করে এবং মঙ্গলবার হামার উত্তরের একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ে পৌঁছে শহরের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকে। বিদ্রোহী যোদ্ধারা হামা শহরকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে।
বিদ্রোহীরা জানিয়েছেন, তারা হামা শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় কারাগার দখলে নিয়েছেন, বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর একটির নেতা হাসান আবদেল ঘানি কারাগার ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি টেলিগ্রামে এক বার্তায় লিখেছেন, আমাদের সদস্যরা হামার কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেছেন এবং কয়েক শত বন্দীকে মুক্ত করেছেন।গত সপ্তাহে বিদ্রোহীরা আলেপ্পো দখল করেন। এর পর থেকে তাঁরা দক্ষিণ, তথা রাজধানী দামেস্কের দিকে আসতে শুরু করেন। গত মঙ্গলবার বিদ্রোহীরা হামা শহরের উত্তর দিকের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর হিলে পৌঁছান। বুধবার হামা শহরের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে তাঁরা অগ্রসর হতে থাকেন।২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। পুরা গৃহযুদ্ধে হামা শহর আসাদ সরকারের হাতে ছিল। কিন্তু এখন শহরটি পতন হওয়াটা দামেস্কের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ালো।
হামা শহরটি রাজধানী দামেস্ক ও উত্তরাঞ্চলের শহর আলেপ্পোর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। আলেপ্পো থেকে দামেস্কে আসার এক-তৃতীয়াংশ এলাকাজুড়ে হামা শহর বিস্তৃত। হামার পতনের পর বিদ্রোহীদের হোমস শহরের দিকে অগ্রসরের পথ খুলে গেছে।