মহান আল্লাহর জিকিরে হৃদয় প্রশান্ত হয়। জিকির আরবি শব্দ। এর অর্থ স্মরণ করা বা উল্লেখ করা। মহান আল্লাহর গুণবাচক নামের জিকির করার তাগিদ দেয়া হয়েছে কোরআন ও হাদিসে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাকে সেইসব নামেই ডাকবে..।
’ (সুরা আরাফ: ১৮০)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন,
মহান আল্লাহর নিরানব্বই নাম আছে, এক কম একশত নাম। যে ব্যক্তি এ (নাম) গুলোর হেফাজত করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহ বিজোড়। তিনি বিজোড় পছন্দ করেন। (বুখারি: ৬৪১০)
মহান আল্লাহর ৯৯টি নামের মধ্যে একটি নাম হলো ‘জুল-জালালি ওয়াল ইকরাম’। এটি ইসমে আজম বা বড় নাম। জালাল শব্দের অর্থ মর্যাদাবান এবং ইকরাম অর্থ সম্মানিত। আল্লাহ বড় বা শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে যেসব নামে ডাকা হয়, সেগুলোকে বলে ইসমে আজম।
এই নামের শুরুতে ‘ইয়া’ যোগ করলে হয় ‘ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম’। যার অর্থ হে মর্যাদাবান ও সম্মানিত। আল্লাহ তাআলার এই নামটি কোরআনে এসেছে দুবার। সুরা আর-রহমানের ২৭ নম্বর ও ৭৮ নম্বর আয়াতে।
‘ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম’-এর বিস্তারিত অর্থ সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিক, যিনি সৃষ্টিকুল হতে ভয় পাওয়ার হকদার ও একমাত্র প্রশংসার যোগ্য, মহৎ, বড়, দয়া ও ইহসানের অধিকারী।يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ (উচ্চারণ: ইয়া যাল-জালালি ওয়াল ইকরাম।) অর্থ: হে মহামহিম ও মহানুভব।ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম-এর ফজিলত
এটি দিনে-রাতে বেশি বেশি পড়ার কথা হাদিসে বলা আছে। এটা পড়লে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করা হবে। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন, ‘তোমরা সব সময় ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম পড়াকে অপরিহার্য করে নাও (তিরমিজি ৩৫২৫)। অর্থাৎ সব সময় এই নাম পড়ার প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এটা দিয়ে ইসমে আজমের আমল করা যায়। একবার হজরত আনাস (রা.) নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বসা ছিলেন। তখন ওইখানে এক লোক এসে নামাজ পড়ে এই দোয়া করল, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আনতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম।’রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
তুমি আল্লাহর দরবারে ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করেছ, যে নামে ডাকলে মহান আল্লাহ সাড়া দেন এবং কিছু চাইলে তা দান করেন। (তিরমিজি ৩৫৪৪)
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জিকিরকে সর্বদা আঁকড়ে ধরতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম-কে সর্বদা আঁকড়ে ধরে থাকবে।’ (তিরমিজি: ৫/৫০৪)
’ (সুরা আরাফ: ১৮০)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন,
মহান আল্লাহর নিরানব্বই নাম আছে, এক কম একশত নাম। যে ব্যক্তি এ (নাম) গুলোর হেফাজত করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহ বিজোড়। তিনি বিজোড় পছন্দ করেন। (বুখারি: ৬৪১০)
মহান আল্লাহর ৯৯টি নামের মধ্যে একটি নাম হলো ‘জুল-জালালি ওয়াল ইকরাম’। এটি ইসমে আজম বা বড় নাম। জালাল শব্দের অর্থ মর্যাদাবান এবং ইকরাম অর্থ সম্মানিত। আল্লাহ বড় বা শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে যেসব নামে ডাকা হয়, সেগুলোকে বলে ইসমে আজম।
এই নামের শুরুতে ‘ইয়া’ যোগ করলে হয় ‘ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম’। যার অর্থ হে মর্যাদাবান ও সম্মানিত। আল্লাহ তাআলার এই নামটি কোরআনে এসেছে দুবার। সুরা আর-রহমানের ২৭ নম্বর ও ৭৮ নম্বর আয়াতে।
‘ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম’-এর বিস্তারিত অর্থ সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিক, যিনি সৃষ্টিকুল হতে ভয় পাওয়ার হকদার ও একমাত্র প্রশংসার যোগ্য, মহৎ, বড়, দয়া ও ইহসানের অধিকারী।يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ (উচ্চারণ: ইয়া যাল-জালালি ওয়াল ইকরাম।) অর্থ: হে মহামহিম ও মহানুভব।ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম-এর ফজিলত
এটি দিনে-রাতে বেশি বেশি পড়ার কথা হাদিসে বলা আছে। এটা পড়লে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করা হবে। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন, ‘তোমরা সব সময় ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম পড়াকে অপরিহার্য করে নাও (তিরমিজি ৩৫২৫)। অর্থাৎ সব সময় এই নাম পড়ার প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এটা দিয়ে ইসমে আজমের আমল করা যায়। একবার হজরত আনাস (রা.) নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বসা ছিলেন। তখন ওইখানে এক লোক এসে নামাজ পড়ে এই দোয়া করল, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আনতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম।’রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
তুমি আল্লাহর দরবারে ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করেছ, যে নামে ডাকলে মহান আল্লাহ সাড়া দেন এবং কিছু চাইলে তা দান করেন। (তিরমিজি ৩৫৪৪)
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জিকিরকে সর্বদা আঁকড়ে ধরতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম-কে সর্বদা আঁকড়ে ধরে থাকবে।’ (তিরমিজি: ৫/৫০৪)