সারা বছর রোজা রাখা সম্ভব হয় না কারও দ্বারা। তবে কেউ যদি প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখে তাহলে সে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবে। এই তিন দিন চাঁদ অনেক সাদা দেখায় তাই এ দিনগুলোকে আইয়ামে বিজ বা সাদার দিন বলা হয়।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হে আব্দুল্লাহ, তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখবে। কেননা নেক আমলের বদলে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকি। এভাবে সারা বছরের রোজা হয়ে যায়।’ (মুসলিম ২৬১৯)প্রতি চান্দ্র মাসে তিনটি রোজা রাখা মুস্তাহাব। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো এ রোজাগুলো ছাড়তেন না। তিনি সব সময় আইয়ামে বিজের রোজা রাখতেন। এমনকি সফরেও। তবে রোজাগুলো ফজিলতপূর্ণ হলেও তিনি উম্মতের জন্য এ রোজাকে বাধ্যতামূলক করেননি। হাদিসে পাকে এসেছে,
তুমি যদি (প্রতি) মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাও, তাহলে তেরো, চৌদ্দ এবং পনেরোতম দিনে রোজা রাখবে। (তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে হিব্বান, মুসনাদে আহমাদ)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আন প্রতিদিন রোজা রাখতেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে প্রতিদিন রোজা রাখতে নিষেধ করেন এবং উপদেশ দেন এভাবে,
‘হে আবদুল্লাহ! আমি এ সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি প্রতিদিন রোজা রাখো এবং সারা রাত নামাজ আদায় করে থাক। আমি বললাম, ঠিক (শুনেছেন) হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন- এরূপ করবে না (বরং মাঝে মাঝে) রোজা রাখো আবার ছেড়েও দাও। (রাতে) নামাজ আদায় করো আবার ঘুমাও। কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হাক রয়েছে, তোমার চোখের হাক রয়েছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হাক আছে, তোমার মেহমানের হাক আছে। (বরং) তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখবে। কেননা নেক আমলের বদলে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকি। এভাবে সারা বছরের রোজা পালন হয়ে যায়।’ (বুখারি)হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম বেহেশতের নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার পর তাদের শরীর থেকে জান্নাতি পোশাক চলে যায়। আর তাদের শরীরের রংও কুৎসিত হয়ে যায়। এরপর হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহর হুকুমে চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখে রোজা রাখলে আবার তাদের শরীরের রং পূর্বের ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে যায়। তাই এই তিন দিনকে আইয়্যামে বিজ বা উজ্জ্বলতার দিন বলা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি মহররম মাসের চাঁদের হিসাব অনুযায়ী আইয়ামে বিজের রোজা রাখার নির্ধারিত দিন হলো, ২০, ২১ ও ২২ জুলাই ২০২৪। যারা এ মাসের আইয়ামের বিজের রোজা রাখবেন; তাদেরকে ১৯ জুলাই (শুক্রবার) দিবাগত রাতে সেহেরি খেতে হবে।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হে আব্দুল্লাহ, তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখবে। কেননা নেক আমলের বদলে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকি। এভাবে সারা বছরের রোজা হয়ে যায়।’ (মুসলিম ২৬১৯)প্রতি চান্দ্র মাসে তিনটি রোজা রাখা মুস্তাহাব। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো এ রোজাগুলো ছাড়তেন না। তিনি সব সময় আইয়ামে বিজের রোজা রাখতেন। এমনকি সফরেও। তবে রোজাগুলো ফজিলতপূর্ণ হলেও তিনি উম্মতের জন্য এ রোজাকে বাধ্যতামূলক করেননি। হাদিসে পাকে এসেছে,
তুমি যদি (প্রতি) মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাও, তাহলে তেরো, চৌদ্দ এবং পনেরোতম দিনে রোজা রাখবে। (তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে হিব্বান, মুসনাদে আহমাদ)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আন প্রতিদিন রোজা রাখতেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে প্রতিদিন রোজা রাখতে নিষেধ করেন এবং উপদেশ দেন এভাবে,
‘হে আবদুল্লাহ! আমি এ সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি প্রতিদিন রোজা রাখো এবং সারা রাত নামাজ আদায় করে থাক। আমি বললাম, ঠিক (শুনেছেন) হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন- এরূপ করবে না (বরং মাঝে মাঝে) রোজা রাখো আবার ছেড়েও দাও। (রাতে) নামাজ আদায় করো আবার ঘুমাও। কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হাক রয়েছে, তোমার চোখের হাক রয়েছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হাক আছে, তোমার মেহমানের হাক আছে। (বরং) তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখবে। কেননা নেক আমলের বদলে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকি। এভাবে সারা বছরের রোজা পালন হয়ে যায়।’ (বুখারি)হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম বেহেশতের নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার পর তাদের শরীর থেকে জান্নাতি পোশাক চলে যায়। আর তাদের শরীরের রংও কুৎসিত হয়ে যায়। এরপর হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহর হুকুমে চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখে রোজা রাখলে আবার তাদের শরীরের রং পূর্বের ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে যায়। তাই এই তিন দিনকে আইয়্যামে বিজ বা উজ্জ্বলতার দিন বলা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি মহররম মাসের চাঁদের হিসাব অনুযায়ী আইয়ামে বিজের রোজা রাখার নির্ধারিত দিন হলো, ২০, ২১ ও ২২ জুলাই ২০২৪। যারা এ মাসের আইয়ামের বিজের রোজা রাখবেন; তাদেরকে ১৯ জুলাই (শুক্রবার) দিবাগত রাতে সেহেরি খেতে হবে।