ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন সুরাহা হয়নি নাটোরের বড়াইগ্রামে ঘটে যাওয়া আলোচিত গরু ডাকাতি মামলার জট,বিচারের আশায় দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন মামলা বাদী ভুক্তভোগী মোঃ সিরাজ। দশ জন আসামীর মধ্যে ছয়জন আসামী আটক হলেও বাকি চারজন এখনো ধরা-ছোয়ার বাহিরে,আবার আসামীরা জামিনে এসে হাজিরা না দেয়ার কারনে তাদের বিরুদ্ধে ও রয়েছে গ্রেফতারী পরোয়ানা,কিন্তু প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী। এর আগে এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সিরাজ নাটোর বড়াইগ্রাম গ্রাম থানায় একটি মামলা করেন যাহার নং- ৩৩৮/২৩। মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০২০সালের ১৪ই জুলাই সিরাজ ও তার পাঁচ সহযোগী গরু ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাইশ লাখ টাকা নিয়ে দিনাজপুরে আমবাড়ীয়া হাটে যায়,পরবর্তীতে ১৮ই জুলাই সন্ধা ছয় ঘটিকার সময় তারা ১৬টি গরু ভর্তি একটি ট্রাক নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন,পথিমধ্যে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম ধানাধীন বনপাড়ার প্রায় এক কিলোমিটার সামনে আসামী বাশার, পিতা: মৃত আব্দুল রাজ্জাক মোল্লা,ভেন্নাবাড়ী,বোড়শী,গোপালগন্জ ও আউয়াল, পিতা:মৃত চাঁনমিয়া ব্যাপারী,তালতলী,দাউদকান্দি,কুমিল্লা, কৌশলে তাদের ট্রাক থামিয়ে বাদী সহ তার সহযোগীদের অস্ত্রের মুখে মারধর করে গরু ভর্তি ট্রাক ও নগদ আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। জানা যায় যায়,ডাকাতদলের সাথে সহযোগী হিসেবে ছিল,নাটোর, বড়াইগ্রাম থানার,আহম্মদপুর পশ্চিমপাড়ার মোঃ জান্টুর পুত্র মোঃ ফরহাদ,নাটোর সদর উপজেলার মোঃ মোস্তফার পুত্র মোঃ বিল্লাল হোসেন,নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার কায়েমকোলার মোঃ জামাল মন্ডলের পুত্র মোঃ ফজলে রাব্বি,ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার পাড়াগ্রামের মৃত ইয়াকুব মিস্ত্রীর পুত্র মোঃ বাবুল মিয়া,কুমিল্লা জেলার৷ চান্দিনা উপজেলার নুরমানিকচরের মৃত মোঃ আলীর পুত্র মোঃ কামাল হোসেন,কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার বাগুর এলাকার মৃত আব্দুল মুন্নাফের পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ছোট মানিকার মোঃ শাহজাহান ছৈয়ালের পুত্র মোঃ বাবুল হোসেন। মামলার ছয় আসামী ভোলার বাবুল,ঢাকা নবাগন্জের মোঃ বাবুল,দাউনকান্দি কুমিল্লার আউয়াল,বড়াইগ্রাম নাটোরের ফরহাদ,নাটোর জেলার সদর উপজেলার মোঃ বিল্লাল ও বড়াইগ্রাম নাটোরের আরেক আসামী মোঃ ফজলে রাব্বি মামলার তিনদিনের মাথায় পুলিশ আটক করে,পরবর্তীতে তারা জামিনে চলে আসে। বর্তমানে কোর্টে হাজিরা না দেয়ার কারনে ও পলাতক থাকার তারনে সাতজন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে আদালত। জানতে চাইলে মামলার বাদী এই প্রতিবেদককে বলেন,আমি সব হারিয়ে নিঃস্ব,বর্তমানে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ডাকাতদের আঘাতের কারনে আমি এখনো শারীরিক মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। আমি এর বিচার চাই,আমার ছিনতাই হওয়া টাকা ও সকল মালামাল ফেরত চাই। মুঠোফোনে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আসামী আউয়াল বলেন, আমি নিয়মিত মামলার হাজিরা দিচ্ছি, আমি জামিনে আছি,এছাড়া মামলার বাদীর সাথে আমি এ মামলা শেষ করার জন্য কথা বলবো। এবিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,এর আগে ছয় জন আসামী আটক করা হয়েছে, পলাতকদের ধরার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।