
ইঞ্জিনিয়ার হাসান রহমানকে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে, আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করার হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাসানের ভাই বলেন,
আমার ভাই নির্দোষ, আমার ভাই ইঞ্জি. হাসান রহমান একজন সুশিক্ষিত বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক। সে দীর্ঘ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অঙ্গ সংগঠন যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। ইঞ্জি. হাসান রহমান ৩২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব এবং জুলাই আন্দোলনের গুলিবিদ্ধ আহত সৈনিক।
৭ই মে দিবাগত রাত-আনুমানিক ১২ ঘটিকায় প্রশাসন তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জানতে পারি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রসাশন তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবং ভোর রাতে হাসান রহমান কে নিয়ে প্রশাসনের সদস্য বৃন্দ আমার বাসায় হানা দেয় বাসায় এসে তল্লাশী চালিয়ে আমার ঘরে রাখা ৬৩,০০০ হাজার টাকা এবং সংসারে ব্যবহৃত দাঁ ও ব্যবহৃত চাঁপাটি পায়। পরের দিন মোহাম্মদপুর থানা থেকে জানতে পারি থানাতে তার বিরুদ্ধে ০৩ টি মামলা হয়।
এই ০৩ মামলা দিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমার শ্যালক হাসান রহমানের উপর যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই সকল অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। মহল্লাতে হাসান রহমানকে সকলে চিনে এবং জানে। মহল্লাতে ইঞ্জিনিয়ার হাসান কোন প্রকার অনৈতিক কার্য্যক্রম সাথে জড়িত নয়।
অভিযুক্ত হাসানের বাগদত্তা স্ত্রী জানান,
আমার সাথে ইঞ্জি. হাসান রহমানের সাথে ৯ ইং মে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় লালমাটিয়ায় লাইসিয়াম কনফারেন্স সেন্টারের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল । বিয়ের আগের দিন রাতে হাসান রহমান কে প্রশাসন কর্তৃক তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর পাই । পরবর্তীতে জানতে পারি মিথ্যা বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ০৩টি মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ কর হয়। আমি একজন নারী আপনারা সবাই অবগত আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এমন ঘটনায় একটা মেয়ের জীবনের কি ঘটে । আমার জীবনটা এভাবে নষ্ট করার কারো কোন অধিকার নাই। নারী হিসেবে আমার ভবিষ্যতের কথা ভেবে সঠিক তদন্ত এর মাধ্যমের সুবিচার দাবী জানাচ্ছি এবং নিঃশর্তে মুক্তি কামনা করছি।
পুরো পরিবার যেন প্রশাসনের এক অদৃশ্য জালে আটকে আছে। কখন কোথায় কিভাবে
তাদের নামে মামলা হচ্ছে, কেউ বলতে পারে না। তাই এই মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদ করে, সরকার ও দেশবাসীর কাছে এর সুবিচার দাবী হাসানের পরিবারে।