বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে ১৯৮৯ইং সনে বঙ্গবন্ধুর নামে নিজের তিন শতাংশ জমি আওয়ামীলীগ দলীয় অফিস করার জন্য ধুনট উপজেলার সভাপতি/সেক্রেটারি বরাবর ৩ শতক জমি দানস্বত্ব হিসেবে রেজিস্ট্রি সহ দলিল করে ছিলেন তার শশুর তোতা মিয়া।
বর্তমানের এই দুঃসময়ে সেই সম্পত্তি ২০২৩ইং সনে ফেরত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করে আশায় বুক বেঁধে আছেন এই অসহায় পরিবারটি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আবেদনের সূত্রে জানা যায়,১৯৮৯ইং সনে বঙ্গবন্ধুর নামে নিজের দুই শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি সহ দলিল করে ছিলেন তার শশুর তোতা মিয়া।
আবেদনে আরো উল্লেখ করেন,গত ২০১৫ইং সালে ঢাকার বিজয় নগরে অহনার স্বামী এসএম শিহাবুজ্জামান(পাবেল) কে তার নিজস্ব গাড়ি মেরামত কারখানা থেকে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন লোক তাকে ধরে নিয়ে যায়।
যা ওই সময়ে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে রমনা থানায় ৩৬৫/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়,যাহার নং ১৮/২০১৫।
দুঃখজনক হলেও সত্য গত দুই বছর পুর্বে তার শশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহেদুজ্জামান(তোতা) মৃত্যু বরন করেন,স্বামী শশুর হারিয়ে বর্তমানে শাশুড়ি ও দুই বাচ্চাকে নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
জমিটি এখনো আওয়ামীলীগের কোন প্রয়োজনে আসেনি ও সংগঠনের অফিস এখনো তৈরি হয়নি এবং বর্তমানে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে এমনটাই তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন।
এদিকে সরেজমিনে ঐ জমিতে গিয়ে দেখা যায় জমিটি এখনো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এবং জমিটির খাজনা খারিজ কিংবা ঘর দরজা অথবা কোন বেড়া ও দেওয়া হয়নি। এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় জমিটি দীর্ঘদিন অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।
জানতে চাইলে অহনা জামান বলেন, স্বামী ছাড়া দুই বাচ্চাকে নিয়ে বর্তমানে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।এছাড়া বর্তমানে আমাদের বাস করার জন্য জমিজমা ও নেই। তাই আমার দুইটি সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এই জমিটি ফেরত দেয়ার জন্য মমতাময়ী নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।